নাটোরের গুরুদাসপুরে নিউ আলপনা নামে একটি ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চাঁচকৈড় রসুল হাঁটায় অবস্থিত ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়। এর আগে ক্লিনিকটিতে সাথী খাতুন (১৮) নামে এক অন্তঃসত্ত্বার শরীরে ভুল রক্ত প্রয়োগ ও গর্ভের প্রায় ৯ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নাটোরের সিভিল সার্জন মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠির প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাধ্যমে উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) মো.আসাদুল ইসলাম এ পদক্ষেপ নেন। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাহিদুল ইসলাম, আবাসিক মেডিকেল অফিসার সুজাউদ্দৌলা ও এসআই মাসুদ রানা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা সাথী অসুস্থ হয়ে পড়লে আলপনা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার শরীরে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। সেখানে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে ‘এ পজেটিভ’ বলা হয়। তাৎক্ষণিক এক ব্যাগ রক্ত সাথীর শরীরে প্রয়োগ করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
রক্ত প্রবেশের পরপরই সাথী অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় গর্ভের শিশুর নড়াচড়া। পরিস্থিতি খারাপ হলে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্ত্রী সাথী খাতুনকে গুরুদাসপুর পৌর সদরের হাজেরা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে আলট্রাসোনাগ্রাফি পরীক্ষার পর জানতে পারেন স্ত্রীর শরীরে ভুল রক্ত প্রয়োগ করায় গর্ভের সন্তান মারা গেছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাথী খাতুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে। সাথী খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার সাবগাড়ি গ্রামের আব্দুস সালাম মণ্ডলের মেয়ে।
উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) মো. আসাদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, অন্তঃসত্ত্বা সাথীর শরীরে ভুল রক্ত দেওয়ার ঘটনায় নিউ আলপনা ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। ওই সময় কাউকে না পাওয়ায় ক্লিনিকটি সিলগালা করা হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. গোলাম সারওয়ার হোসেন কালবেলাকে বলেন, মৃত শিশুর ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন