লক্ষ্মীপুরে বাড়িতে ঢুকে আওয়ামী লীগ নেতা নুর আলম নুরুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় মো. খোকন ও আনোয়ার হোসেন নিকুর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১২-১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার সকালে নিহত নুরুর স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন।
আসামি মো. খোকন চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে ও আনোয়ার হোসেন নিকু একই এলাকার তরিক উল্যাহর ছেলে।
নিহত নুর আলম নুরু চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে ১০/১২ জনের এক দল লোক বাড়ির পেছনে নুরুকে মারছিল। ঘর থেকে বের হয়ে তার ছেলে আরিফ হোসেন ঘটনাটি দেখতে পায়। বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাকে হামলাকারীরা ধরে রাখে। একপর্যায়ে তিনি হামলাকারীদের হাত থেকে ছুটে গিয়ে পুকুরের অন্য পাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে নুরুকে হামলাকারীরা এলোপাতাড়ি লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটাচ্ছিল।
নুরুর স্ত্রী মমতাজ হামলাকারীদের পায়ে ধরে স্বামীকে না মারার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু হামলাকারীরা কোনো কথা শোনেনি। উল্টো মমতাজকেও মারধর করে। হামলাকারীদের মধ্যে খোকন নামে একজনকে আরিফ চিনতে পেরেছে। খোকন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার নেতৃত্বে নুরুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজ উদ্দিন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
মন্তব্য করুন