কুমিল্লা মনোহরগঞ্জে সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়। বন্যায় ডুবে গেছে বাড়িঘর, মাছের ঘের, এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। বন্যার পানি শুকিয়ে গেলে বিভিন্ন রাস্তার কার্পেটিং ও পাথর উঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। এতে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছিল ছোটখাটো দুর্ঘটনা। রাস্তার বেহালদশায় চরম দুর্ভোগে পড়ছিলেন মানুষজন।
এসব ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতে এগিয়ে এসেছেন এলাকার সাধারণ শিক্ষার্থী ও যুবকরা। এমন উদ্যোগ গ্রহণের পর মনোহরগঞ্জ খিলা ইউনিয়নের বাইপাস সড়ক, আশিরপাড় রাস্তা, লক্ষ্মণপুর রাস্তায় যান চলাচলে স্বস্তি ফেরে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ৪০/৫০ জন শিক্ষার্থী ও যুবকরা উপজেলা সদরে বাইপাস সড়ক, আশিরপাড় সড়ক, লক্ষ্মণপুর রাস্তাসহ উপজেলার বিভিন্নস্থানে বন্যার পানিতে তৈরি হওয়া গর্ত ভরাটের কাজ করছেন। বালু ও সুরকি দিয়ে এসব গর্ত ভরাট করছেন তারা।
যুবকরা জানান, কিছু দিন আগে বন্যা হওয়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো কার্পেটিং ও পাথর উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। পরে আমরা এলাকার ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবী যুবকরা নিজেদের অর্থায়নে বিভিন্ন গ্রাম থেকে বালু ও সুরকি সংগ্রহ করে রাস্তায় ফেলেছি। এতে জনসাধারণের দুর্ভোগ কমেছে ও নির্বিঘ্নে যানচলাচল করতে পারবে বিভিন্ন যানবাহন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, এলাকার সাধারণ জনগণ, ছাত্র ও যুবকদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামত বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্প থেকে ঠিকাদার নির্বাচিত হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামতের কাজ শুরু করা হবে। শিগগিরই জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজালা রানী চাকমা কালবেলাকে বলেন, বন্যায় উপজেলার অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের মধ্যে কম বা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার তালিকা করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সংস্কারের কাজ শুরু করব।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এলাকার ছাত্র ও যুবকরা কিছু রাস্তার সুরকি ও বালু দিয়ে চলাচলের উপযোগী করছে। এমন উদ্যোগ নেওয়াতে সবাইকে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
মন্তব্য করুন