কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হিসাবরক্ষণ অফিসে উৎকোচ ছাড়া কোনো কাজই হয় না। দীর্ঘদিন থেকে এমন ঘুষ কিংবা উৎকোচ দিতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীদের। যে কোনো কাজের বিনিময়ে দিতে হবে কমিশন। কমিশন দিতে রাজি না হলে কালক্ষেপণ করেন দপ্তরের দায়িত্বশীলরা। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয়টি দীর্ঘদিন থেকে দুর্নীতি ও ঘুষের আখড়ায় পরিণত হয়ে আছে। যে কোনো বিল পাসের জন্য টাকা নেওয়া যেন অফিসের দায়িত্ববানদের অধিকারে পরিণত হয়েছে।
সূত্র বলছে, জিপিএফ হিসাব নম্বর খোলা, বেতন নির্ধারণ, বকেয়া বিল, জিপিএ চূড়ান্ত বিলসহ যে কোনো কাজই ঘুষ ছাড়া পাস হয় না।
বিলের সঙ্গে কমিশন বেঁধে দেওয়া আছে এমন মন্তব্য করে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, অফিসগুলোর বিভিন্ন বিল পাস করতে গেলে আমাদের বিলের ২-৫ শতাংশ টাকা হিসাবরক্ষণ অফিসে দিতে হবে। আর এই কমিশন যত দ্রুত দেওয়া হবে কাজ দ্রুত হবে।
সরকারি হাসপাতালের দায়িত্বশীল কয়েকজন বলেন, হিসাবরক্ষণ অফিসের কাজগুলো করতে গেলে টাকা না দিলে তা হবে না, টাকা দিতেই হবে। সরকার তো তাদের বেতন ভাতা দেন সেবা দেওয়ার জন্য, তাহলে কেন কাজ করতে তাদের বাড়তি টাকা দিতে হবে।
টাকা না দেওয়ার কারণে তিন মাস ঘুরে কাজ হয়েছে জানিয়ে একজন কলেজ শিক্ষক বলেন, কমিশন বা ঘুষ না দিলে বা অভিযোগ করলে পরে বিভিন্নভাবে হুমকিসহ হয়রানি করা হয়।
কলেজ শিক্ষক নিজামুল ইসলাম বলেন, ট্রেজারি (হিসাবরক্ষণ) অফিসে একটি কাজ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। তারা টাকাও দাবি করেছিল পরে বিভাগীয় কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে কাজটি সমাধান হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. শাহানুর ইসলাম বলেন, এমন কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। আর কাজ করতে আসলে কেন টাকা দেবে তারা। বিল পাসের জন্য অফিসের কেউ টাকা চাইলে তারা যেন আমার কাছে আসে।
মন্তব্য করুন