ফরিদপুরে জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মিসভায় হামলার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠুসহ ২৯ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন খান মিঠু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
সন্ধ্যায় বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. হেমায়েত হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২০২২ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানীসহ স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি থাকা অবস্থায় সেখানে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু অম্বিকা হলে ঢুকে সঙ্গে থাকা ১৫০-২০০ নেতাকর্মী নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা অনেকেই মারাত্মকভাবে আহত হয়।
মামলার বাদী আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন খান মিঠু কালবেলাকে বলেন, বিগত দিনে আইনের শাসন না থাকায় আমাদের ওপর জিয়াউল হাসান মিঠু ও যুবলীগের ক্যাডাররা হামলা চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। থানায় গিয়ে মামলা দিতে পারিনি। এখন আইনের শাসন ফিরে আসায় বিজ্ঞ আদালত কাছে আমরা মামলা জন্য আসলে আদালত তা গ্রহণ করে। সেদিনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার পাব বলে প্রত্যাশা করি।
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু কালবেলাকে বলেন, একই দিন পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আমাদেরও একটা দলীয় প্রোগ্রাম নিয়ে আমরা দুই গ্রুপ সেখানে উপস্থিত হই। দুই গ্রুপের যুবক ছেলেরা এক জায়গা হলে যা হয়। তারা মামলাতে যেভাবে উল্লেখ করেছে এমন কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। আমরা সবাই একই এলাকার সন্তান। কোনো দেশীয় অস্ত্র কারো কাছেই ছিল না। মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন