রাজধানীর ডেমরায় থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা এবং কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার হত্যার প্রতিবাদে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়াটার এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিক্ষোভ মিছিল টি ষ্টাফ কোয়ার্টার এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার আন্ডার পাশ সংলগ্ন এলাকায় এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্বে ছিলেন ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এ জহির উদ্দিন তুহিন, ডেমরা থানা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. ইয়াহইয়া বিন আশরাফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক হাসান ও পলাশসহ আরও অন্যান্য নেতারা।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমাদের নেতার গাড়ি বহরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার ভাইকে আওয়ামী হায়েনারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ভাইসহ আরও ৫০ জনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীকে আহত করেছেন। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এর আগে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী তার গোপালগঞ্জের নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনা পাড়া মোড়ে গাড়ি বহরে অতর্কিত হামলা করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এ সময় হামলায় নিহত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা (রত্না), ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান মনিরসহ প্রায় ৫০ জন আহত হন। ওই সময়ে বহরে থাকা প্রায় ৩০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
মন্তব্য করুন