সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, হাসপাতালে চুরি এবং নারীদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এ আদেশ দেওয়া হয়।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা) ও অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ বি এম আবু হানিফ এই বরখাস্তের আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়েছে, বরখাস্তকালীন উভয় কর্মচারী বিধি মোতাবেক খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
বরখাস্ত হওয়া দুজন হলেন- ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবিব ও নিরাপত্তা প্রহরী আবদুল জব্বার।
ওয়ার্ড মাস্টার রওশন হাবিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি হাসপাতালের নতুন মেডিকেল কলোনী ক্যাম্পাসে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে এবং ক্ষেত্রী পাড়ায় বরাদ্দ ছাড়া বাসায় বসবাসের সুযোগ করে দিয়ে অর্থ আদায় করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, রওশন ক্যাম্পাসে বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দোকান এবং অ্যাম্বুলেন্স রাখার স্থান এবং বহিঃর্বিভাগ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করেছেন। নারীদের প্রতি যৌন নির্যাতনের অভিযোগও তার বিরুদ্ধে উঠেছে।
অন্যদিকে, নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি হাসপাতালের ক্যাম্পাসে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া, কর্মচারীদের ডিউটি রোস্টার এবং লাভজনক স্থানে স্থানান্তরের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করেছেন। ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চুরির ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়ার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে অনিয়মের বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের কার্যক্রম হাসপাতালের শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ উন্নত করতে এবং রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ তারা বরদাস্ত করবেন না।
মন্তব্য করুন