পাহাড়ে কেউ যাতে ইন্ধন জোগাতে না পারে, সেজন্য পাহাড়িদের দুঃখ-বেদনা বুঝে, শান্তি বজায়ে সৌহার্দ্য স্থাপনে সব পক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল মেরিন একাডেমি পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, নৌ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে ভয়াবহ দুর্নীতিতে মহাসাগর চুরি হয়েছে। এ সময় দুর্নীতি রোধে দেশবাসীর কাছে সহায়তাও চেয়েছেন তিনি। মব জাস্টিসের পক্ষে নন জানিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ওপর গুরুত্ব দেন এম সাখাওয়াত।
দুদিনের সফরে গতকাল রোববার বরিশাল মেরিন একাডেমি পরিদর্শন করেন পাট, বস্ত্র ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডক্টর এম সাখাওয়াত হোসেন। একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে অভিবাদন গ্রহণ শেষে বৃক্ষ রোপণ করেন তিনি। বাংলাদেশের মেরিনারদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে, দুবাই ও সিঙ্গাপুর অ্যামবাসিতে নতুন দুটি পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও ঘোষণা দেন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, আমি দুটি মন্ত্রণালয়ে আছি। এটাকে সাগরচুরি বলা যায় না, হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর চুরি। লাস্ট ১৫ বছর যে সরকার ছিল, তারা পুরো সিস্টেম করাপ্ট করে ফেলেছে। এখান থেকে বের হয়ে আসা খুবই ডিফিকাল্ট। এমন কোনো ডিপার্টমেন্ট নেই, কোনো সিস্টেম নেই যে করাপ্ট করা হয়নি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তো শেষ করে ফেলা হয়েছে, অলমোস্ট ফিনিশড। আমরা চেষ্টা করছি এগুলো ঠিক করার। তবে এটা দুই অথবা তিন বছরে ঠিক করা সম্ভব নয়। সরকারি পাটকল একটাও চলছে না। আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো লিজ দিয়ে চালু করার। সরকারের পক্ষে ব্যবসা করা সম্ভব নয়।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নৌ মন্ত্রণালয়ে কিছু কিছু প্রজেক্ট আছে, অনেকে জানেনই না, কেন হয়েছে এ প্রজেক্ট। এগুলো দেশবাসীর সহায়তা ছাড়া ঠিক করা সম্ভব নয়। চুরি-চামারি বন্ধ করতে হবে। এটাই জাতির জন্য বড় সমস্যা। করাপশন রিডিউস করতে হবে, এটাই আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
উপদেষ্টা বলেন, আইনের মধ্যে সবাইকে চলতে হবে। শক্ত অ্যাকশন নেওয়া উচিত আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে। পাহাড়ে সব সময় সমস্যা ছিল। সেখানে বাঙালি অবাঙালি বাদে ১৩-১৪টি কমিউনিটি আছে, কেউ ছোট বা কেউ বড়। তাদের মধ্যে সৌহার্দ্যের ব্যাপার আছে। সৌহার্দ্য বজায় রাখতে হলে অপাহাড়ি যারা আছে, তাদের বুঝতে হবে পাহাড়িদের দুঃখ ও বেদনা। লোকালি এই সৌহার্দ্য বাড়াতে হবে। কেউ যাতে ইন্ধন জোগাতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। রক্তপাত বন্ধ করাটা বেটার। সম্প্রীতি বজায় না রাখলে সবারই ক্ষতি।
মন্তব্য করুন