আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ওসিসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাদীকে হুমকির অভিযোগ

আশাশুনি থানার সাবেক এসআই শাহিন (বাঁয়ে), ওসি বিশ্বজিৎ (মাঝে) ও এসআই ইমরান (ডানে)। ছবি : কালবেলা
আশাশুনি থানার সাবেক এসআই শাহিন (বাঁয়ে), ওসি বিশ্বজিৎ (মাঝে) ও এসআই ইমরান (ডানে)। ছবি : কালবেলা

হত্যা মামলা না নিয়ে বাদীকে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার সাবেক ওসি বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী, উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন রহমান ও ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে।

এ অভিযোগ করেন উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের গোদাড়া গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রসুল।

গোলাম রসুল বলেন, গত ১০ জুন আমার চাচাতো ভাই মুস্তাকিম তার মৎস্য ঘেরে মারা যায়। প্রথমে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে শোনা গেলেও পরে তার বাবা আব্দুর রাজ্জাক কারিগর তার ছেলে মুস্তাকিমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। আমি থানায় লাশের ময়নাতদন্ত ও মামলা করার জন্য গেলে ওসি বিশ্বজিৎ, এসআই শাহিন আমাকে হুমকি ও গ্রেপ্তারের ভয় দেখায়। আমি তাদের ভয়ে এক সপ্তাহ বাড়ির বাইরে ছিলাম। পরে সাংবাদিক এবং গ্রামবাসী আমাকে আশ্বস্ত করলে আমি গ্রামে ফিরে আসি।

তিনি আরও বলেন, ওসি ও দুই এসআইয়ের কারণে আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের হত্যার বিচার এখনো পাইনি। এই মামলার তদন্ত ছিল এসআই ইমরানের ওপর। সে গড়িমসি করেছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত করেনি। আমি ওসি বিশ্বজিৎ, এসআই শাহিন, এসআই ইমরানের শাস্তি দাবি করছি। এতদিন আওয়ামী লীগ সরকার ছিল এই জন্য ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। আমার চাচা আব্দুর রাজ্জাক কারিগর, চাচি আসমা খাতুন পারুল ও শোভনালী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার আলকেসুর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সুষ্ঠু তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।

গোলাম রসুল বলেন, মুস্তাকিমের মাথায় আঘাত, গলায় নখের আঁচড় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা সেগুলোর চাক্ষুষ সাক্ষী। এতকিছুর পরও তার লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করা হয়েছে।

স্থানীয় সাংবাদিক মহিউদ্দিন বলেন, এই মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমি আছি, বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছি কিন্তু এখনো তার সুফল পাইনি। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক একটি ব্যবস্থা যেন নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন রহমান বলেন, আমি ওই ইউনিয়নের বিট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব ছিলাম। আমি মামলার বিষয়ে কিছুই জানি না।

আরেক উপপরিদর্শক ইমরান বলেন, থানায় প্রচলিত আইনে একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে এটি মিথ্যা।

মুস্তাকিমের বাবা আব্দুর রাজ্জাক কারিগর কালবেলাকে বলেন, আমার ছেলেকে আমি কি হত্যা করতে পারি? একটা চক্র আমাকে ফাঁসানোর জন্য চক্রান্ত করছে। ময়নাতদন্ত না করে মুস্তাকিমের লাশ দাফন করার বিষয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমার ছেলের মৃত্যু শ্যালোমেশিনের সঙ্গে পেঁচিয়ে হয়েছে, আশপাশের সবাই বিষয়টি জানতাম। তাই লাশের ময়নাতদন্ত করার হয়নি।

কী কারণে মামলা না নিয়ে বাদীকে গ্রেপ্তারের হুমকি ও ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করা হয়েছে বিষয়টি জানতে চাইলে সাবেক ওসি বিশ্বজিৎ অধিকারী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে এটি সত্য নয়। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। মুস্তাকিমের বাবাও কাউকে দোষী করেননি। এ জন্য আমরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করার অনুমতি দিয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপ-উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

স্কয়ার গ্রুপে চাকরি, নেই বয়সসীমা

পাহাড়ে নিপীড়নের প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ

মেট্রোরেলে আগে ৬ মাসে আয় ১৮ কোটি, এখন ১৮ দিনে ২০ কোটি

জবি কোষাধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির চৌধুরীর পদত্যাগ

দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা ইবি শিক্ষার্থীদের

ছাত্র আন্দোলনে হামলা / ঈশ্বরদী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক গ্রেপ্তার

সরকারকে একটি ভালো নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে হবে : দুদু

এবার আলোচনায় কোহলির ‘নাগিন’ ড্যান্স (ভিডিও)

কানপুর টেস্টের দল ঘোষণা ভারতের

১০

হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারে সরকারের ২ কমিটি

১১

কুয়াকাটা ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরা হলো না দুই বন্ধুর

১২

চীন নিয়ে নিজের বাড়িতে গোপন বৈঠক বাইডেনের

১৩

হঠাৎ মিরপুরে সেনা মহড়া

১৪

মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান, পাঠালেন বিবৃতি

১৫

ন্যায়বিচার চান তমা মির্জা

১৬

ভারতের সঙ্গে অতীতের সরকারের নীরবতার দিন শেষ : পানিসম্পদ উপদেষ্টা

১৭

ভারতে ইলিশ পাঠানোর কারণ জানালেন মৎস্য উপদেষ্টা

১৮

শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে ঢাবির ক্লাস শুরু

১৯

বড় হারের পরও কিছু প্রাপ্তি দেখছেন শান্ত

২০
X