দীর্ঘ ১৩ বছর বেদখলে থাকা জমি আদালতের মাধ্যমে ফিরে পেলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাওলানা মো. খলিলুর রহমান। ঢোল পিটিয়ে ও লাল কাপড় টানিয়ে তার জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন আদালতের লোকজন। জীবনের শেষ সময়ে জমি ফিরে পেয়ে সরকার ও আদালতের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের ঢেকনাপাড়ায় খলিলুর রহমানের জমি ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের লোকজন বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশের সহযোগিতায় জমির সীমানায় লাল কাপড় টাঙিয়ে দেয়। পরে ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা দেয় আদালতের নির্দেশে আজ থেকে এই জমির মালিক খলিলুর রহমান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বালিয়াডাঙ্গী ঢেকনাপাড়ায় খলিলুর রহমানের বেদখল হওয়া জমিতে একটি কিন্ডারগার্ডেন ভাড়া দেন বাদীপক্ষের ইবনে। আদালতের লোকজন আসার পর স্কুল ছুটি দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে আদালতের নির্দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন সীমানা নির্ধারণ করে লাল কাপড় টানিয়ে দিয়ে ঢোল পিটিয়ে দেয়।
জমির মালিক মাওলানা মো. খলিলুর রহমান জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর পর আদালত আমার জমি বুঝিয়ে দিলেন। আমি আদালত ও সরকারের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।
খলিলুর রহমানের ছেলে নুরে আলম বলেন, আমরা প্রথমে ফৌজদারি ও সিভিল মামলা করে রায় পাই। পরে আরেকটি মামলায় রায় পেলে বিবাদীপক্ষ আপিল করলে আদালত তাদের মামলা খারিজ করে দেয়। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে মামলা চলার পর আদালতের লোকজন জনসম্মুখে আমাদের জমি বুঝিয়ে দেয়। এই দীর্ঘ ১৩ বছরে বিবাদী পক্ষ ইবনে, মানিক ও আশরাফ আলী আমার পরিবারের লোকজনকে জুলুম নির্যাতন ও হয়রানি করেছে।
বাদী পক্ষের সাক্ষী ফজলুর রহমান জানান, সিভিল মামলায় আমি সাক্ষী ছিলাম। যা দেখেছি তাই আদালতে বলেছি। আজ আমি খুব খুশি দীর্ঘদিন পর হলেও জমির সঠিক মালিক তার জমি বুঝে পেয়েছেন। আমি আদালতের প্রতি সন্তুষ্ট।
ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পেশকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মামলার রায় পাওয়ায় দখল নিতে আবেদন করেছিলেন বাদী খলিলুর রহমান। আমরা বিচারকের নির্দেশে পুলিশের সহযোগিতায় জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন