ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় আকস্মিক আঘাত হেনেছে ভয়াবহ ঝড়। এতে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকান, ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আকস্মিক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ডুবিসহ সুইচঘাট এলাকার প্রায় ২০ থেকে ২৫টি দোকান বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা ভেঙে যায় এবং উপড়ে যায়।
অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ঝড়ের সময় বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে ৫টি ইউনিয়নে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, সুইচঘাট এলাকার দোকানপাট ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে এবং ঘরের বাড়ির টিন উড়ে যায়। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে প্রশাসন কাজ শুরু করেছে।
শম্ভুপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বলেন, গত রাতের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে আমার বসতঘরটি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। আমাদের গ্রামের আরও অনেকের ঘরবাড়ির টিনের চালা ঘূর্ণিঝড় উড়িয়ে নিয়ে যায়। এতে আমরা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছি।
চাঁদপুর ইউনিয়ন ইউপি সদস্য সিরাজ উদ্দিন জানান, আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে সুইচঘাট এলাকার প্রায় ২০ থেকে ২৫টি দোকান বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়ির টিনের চালা ঝড়ে উড়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ দেবনাথ জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা হয়নি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে প্রশাসন কাজ শুরু করেছে।
মন্তব্য করুন