বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে চোখ হারান বেল্লাল হাওলাদার। এ বিষয়ে ‘আলো হারাতে বসেছেন বেল্লাল’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি সবার নজরে আসলে তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন এক ব্যক্তি।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেল্লালকে নগদ০ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন ইঞ্জিনিয়ার সায়েম শাহনেওয়াজ। এ ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে তাকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেল্লাল।
বেল্লালের বাড়ি নলছিটি উপজেলার কয়া বাজার গ্রামে। তার বাবার নাম মো. তৈয়ব আলী হাওলাদার। তিনি পেশায় ছিলেন একজন অটোচালক।
বেল্লাল আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন, আমাকে লন্ডন থেকে তারেক জিয়া (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েছে। আমাকে এর আগে একজন ২৫ হাজার টাকা দিয়েছে। এ ছাড়া বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আমাকে অনেক অর্থ ও শ্রম দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। ভার্সিটির দুই সাবেক শিক্ষার্থীও চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আপু আমাকে চিকিৎসার সময়ে ৭ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। আমি যেহেতু দুই চোখে দেখি না তাই এই টাকাগুলো একসঙ্গে করে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতে হবে। অনেকে বলেছেন, আমি যাতে কিছু একটা করতে পারি সে জন্য আরও সহযোগিতা করবেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
গত ১৮ জুলাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় মাইকিং করে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাইলে তারাও অংশগ্রহণ করেন ওই ছাত্র আন্দোলনে। তখন পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেট পিঠে ও চোখে লাগে বেল্লালের। একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠায় তাকে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে একটি চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বেল্লালকে।
মন্তব্য করুন