বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বিয়ের দাবিতে রানার বাড়িতে চাচির অনশন

বগুড়ায় বিয়ের দাবিতে দুই সন্তানের জননীর অনশন। ছবি : কালবেলা
বগুড়ায় বিয়ের দাবিতে দুই সন্তানের জননীর অনশন। ছবি : কালবেলা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভাতিজা রফিকুল ইসলাম রানার বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে দুই দিন ধরে অনশনে বসেছেন তার চাচি। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কালিশ পুনাইল গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, অনশনরত নারীকে মারধর করে নগদ ২০ হাজার টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ও প্রমাণ নষ্ট করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে অভিযুক্ত রানা ও তার পরিবার। ভুক্তভোগী নারীর দুটি সন্তান আছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১০টা থেকে উপজেলার কালিশ পুনাইল গ্রামের রফিকুল ইসলাম ওরফে রানার বাড়িতে অনশন করছেন ওই নারী। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীকে দেখতে ভিড় করে সাধারণ মানুষ।

রফিকুল ইসলাম রানা (৩২) উপজেলার কালিশ পুনাইল গ্রামের মনসুর হোসেনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন।

জানা গেছে, ওই গ্রামের রফিকুল ইসলাম রানা তার চাচির সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। চাচি ও ভাতিজার প্রেমের খবর জানাজানি হলে ৪ বছর আগে নারী ও তার স্বামীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

বিচ্ছেদের ৪ বছর পর ভুক্তভোগী নারী বিয়ের দাবিতে ভাতিজা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। এ ঘটনায় ভাতিজা রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন, গত ৪ বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বগুড়া শহরে ও নন্দীগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে আমরা মাঝে মাঝে থাকতাম। আমার আগের সংসার নষ্ট করেছে বিভিন্ন তালবাহানায়। আমি প্রেমের সম্পর্কে প্রথমে না জড়ালে সংসার ভাঙার হুমকি দিত। একপর্যায়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কিন্তু আগের সংসার আমার টেকেনি।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় এখন আমাকে যদি রানা বিয়ে না করে তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আমার পরিবার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে ঘটনা জানার পর। আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তাই বিয়ে করে সংসার করব রানার সঙ্গে।

এ বিষয়ে রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম অবস্থায় বিষয়টি মিথ্যা বলে দাবি করেন। পরে বিভিন্ন ছবির কথা জানালে এডিট বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তাকে আমি বিয়ে করব না। তাতে আমার ফাঁসি হয় হবে।

ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। একজন নারী বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছে। যদি তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকে বা প্রমাণ থাকে ছেলের বিয়ে করাই উচিত হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডিসেম্বরে ঢাকায় বসছে এটিজেএফবি ইন্টারন্যাশনাল ম্যারাথন

৩৪তম বিসিএস অল ক্যাডারের সভাপতি জয়, সম্পাদক জুয়েল

কালবেলার সাংবাদিকের বাবার ইন্তেকাল

টাইমস হায়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ৫ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষে

চট্টগ্রামে পেট্রলবোমায় দগ্ধ নারী মারা গেছেন

টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে সাইকেল উপহার পেল ১২ শিশু

পদ্মায় ভেসে এলো মৃত ডলফিন

পিসিএর সদস্য হলেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী 

ছাত্র অধিকার পরিষদ ছেড়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদে ১৩ নেতাকর্মী

জয়ে নেপাল মিশন শেষ করল নারী কাবাডি দল

১০

অন্তর্বাসে সোনা লেপে দেশে ফিরছিলেন দুবাই প্রবাসী

১১

কারও ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না : মুরাদ 

১২

‘ইসলামবিরোধী কোনো পদক্ষেপ নিলে চরম মূল্য দিতে হবে’

১৩

আ.লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দোহাই দেয় : সারজিস

১৪

নিজের জমিতেও টিউবওয়েল বসাতে পারছেন না রাজু

১৫

ওমানের কাছে হেরে এশিয়া কাপের বাইরে বাংলাদেশ

১৬

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপে যাচ্ছে ডিএনসিসি

১৭

‘গাবতলী টার্মিনালে আন্তঃজেলা বাস প্রবেশে আলাদা রোড নির্মাণ হবে’

১৮

উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা

১৯

হেফাজতে ইসলামের উত্তরা জোনের প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল 

২০
X