নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ধীরগতিতে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এখনো অনেক সড়ক পানির নিচে। ভোগান্তিতে বন্যাদুর্গতরা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বন্যাকবলিত সোনাইমুড়ীসহ আটটি উপজেলায় এখনো লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৮ লাখেরও বেশি। বন্যার পানি না কমার কারণে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে অনেক মানুষ এখনো বাড়ি ফিরতে পারছেন না।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলাসহ জেলার আটটি উপজেলার ৬৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো ৭০ হাজার মানুষ রয়েছে। এই সংখ্যা গত সপ্তাহে ছিল ২ লাখেরও বেশি। গত দুদিনে বন্যার পানি তেমন একটা উন্নতি হয়নি। উপজেলায় ১০টি ইউনিয়ন পানি অনেকটাই স্থির হয়ে আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন নিচু স্থানে কোনো কোনো বাড়িতে কোমর সমান পানি আবার কোথাও হাঁটু পানি। বিশেষ করে সোনাইমুড়ী সেনবাগের অপেক্ষাকৃত নিচু ভূমির পানি বিভিন্ন জায়গায় আটকে আছে, নামছে না পানি। জেলার জলপ্রবাহের প্রধান অবলম্বন উত্তরে-দক্ষিণে সমুদ্র পথে প্রবাহিত নোয়াখালী খাল। যার সঙ্গে সংযুক্ত বিভিন্ন উপজেলার শাখা প্রশাখা খালগুলো।
সোনাইমুড়ী বড় খালের পাশে গিয়ে দেখা যায়, খালের পানিতে কোনো প্রবাহ নেই। বন্যার পানি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে আশপাশের বাসাবাড়ির আঙিনায়। মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে চলাচল করছেন।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ কালবেলাকে জানান, যতটুকু জেনেছি এবং দেখেছি খালগুলো দিয়ে পানি না নামার কারণে বর্তমানে বন্যার পানি স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নিয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোও বাড়ি ফিরতে পারছে না। এবারের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে ক্ষতির পরিমাণও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। একইসঙ্গে বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগও বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উত্তরণে তিনি শিগগিরই পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগসহ বিভাগীয় কর্মকর্তাদের ডেকে পরামর্শ সভা করবেন।
মন্তব্য করুন