মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

তিন মাস ধরে ১৪০০ চা শ্রমিকের মজুরি বন্ধ

শ্রমিকরা বাগান রক্ষার স্বার্থে এবং চা পাতা উত্তোলনের ভরা মৌসুম থাকায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ছবি : কালবেলা
শ্রমিকরা বাগান রক্ষার স্বার্থে এবং চা পাতা উত্তোলনের ভরা মৌসুম থাকায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ছবি : কালবেলা

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা চা বাগানে প্রায় তিন মাস ধরে ১৪শ চা শ্রমিকের মজুরি ও রেশন বন্ধ রয়েছে। এ কারণে তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। শ্রমিকদের অভিযোগ, দ্য নিউ সিলেট টি এস্টেটস লিমিটেডের মালিকানাধীন ওই বাগান কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মজুরি না দিয়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। মজুরির দাবিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি-মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির আশ্বাসে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগান মালিক নানা অজুহাত দেখিয়ে শ্রমিকদের মজুরি বন্ধ রেখেছেন। শোনা যায়, তিনি দেশের বাইরে চলে গেছেন। এরপর থেকে বাগানে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। পাতা উত্তোলনের ভরা মৌসুমে শ্রমিকরা কাজ না করলে উৎপাদনে বড় ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিতে পারে, যে কারণে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

বাগানের শ্রমিক পরিবারের রাম ভোজন কালবেলাকে বলেন, জেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা চা বাগান ভালো মানের বাগান। হঠাৎ মালিকপক্ষের অসহযোগিতায় প্রায় তিন মাস ধরে শ্রমিকদের রেশন ও মজুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন দিনমজুর শ্রমিকরা। শ্রমিকরা দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোনো কর্ণপাত নেই।

বাগান পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক দিপচান গোয়ালা কালবেলাকে বলেন, আমাদের বাগানে ১৪শ শ্রমিক রয়েছেন। মালিকপক্ষ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও বন্যার অজুহাত দেখিয়ে ১১ সপ্তাহ ধরে রেশন ও মজুরি বন্ধ করে রেখেছেন। এ নিয়ে আমরা বারবার যোগাযোগ করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলে তারা উদ্যোগ নিয়েও সমাধান করতে পারেননি। তাদের প্রচেষ্টায় মাত্র এক সপ্তাহের মজুরি প্রতি জনে ১ হাজার ২০ টাকা পেয়েছেন।

কিন্তু রেশন দেওয়া হয়নি। এ টাকা দিয়ে শ্রমিকরা ঋণ পরিশোধ করবেন, না সংসারের খরচ চালাবেন। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। ধারাবাহিকভাবে মজুরি প্রদান না করলে শ্রমিকরা অনাহারে-অর্ধাহারে থাকবেন। শ্রমিকরা বাগান রক্ষার স্বার্থে এবং চা পাতা উত্তোলনের ভরা মৌসুম থাকায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলু কালবেলাকে বলেন, বাগানের অবস্থা ভালো নয়। বিষয়টি স্থানীয় ও ঊর্ধ্বতন প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বাগান চালু রাখার জন্য এক সপ্তাহের মজুরি প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগান ম্যানেজারকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবলু সুত্রধর কালবেলাকে বলেন, এখানে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসে পরিদর্শন করেছেন। শ্রমিকদের এক সপ্তাহের মজুরি প্রদান করা হয়েছে। মজুরি প্রদান অব্যাহত থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার মামলা আগেই বাতিল হওয়া উচিত ছিল : দুদকের আইনজীবী

মাটির নিচ থেকে ভেসে আসছিল নবজাতকের কান্না, অতঃপর...

সারজিস আলমসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের তথ্যটি গুজব 

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে মামলা

আপিল না করেও খালাস পেলেন তারেক রহমান 

মালয়েশিয়ার মেঘের রাজ্য ক্যামেরন হাইল্যান্ড

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন / নিজেদের স্বার্থে টিউলিপকে ব্যবহার করে লেবার পার্টি

সাবেক প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে বর্তমান প্রেমিক ‍নিহত

ময়মনসিংহে হুমগুটি খেলায় জনতার ঢল

১০

ম্যানচেস্টার-সিলেট-ঢাকা রুটে বিমান বন্ধের শঙ্কা, প্রবাসীদের ক্ষোভ

১১

প্রধান উপদেষ্টার কাছে আজ সংস্কার প্রস্তাব জমা দেবে চার কমিশন

১২

ফের মন্ত্রী হয়ে ফিরতে পারেন টিউলিপ!

১৩

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

১৪

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ার চায়ের দোকানে

১৫

দিনাজপুরে হিমেল বাতাসে কনকনে ঠান্ডা

১৬

ববির লাইব্রেরি ও দুই হলের নাম পরিবর্তন করলেন শিক্ষার্থীরা

১৭

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার

১৮

সাবেক আইজি এম আজিজুল হক আর নেই 

১৯

টিউলিপের স্থলে নিয়োগ পেলেন এমা রেনল্ডস

২০
X