লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই বানভাসী সালেহা বেগমের

দেবে যাওয়া ঘরের সামনে সালেহা বেগম। ছবি : কালবেলা
দেবে যাওয়া ঘরের সামনে সালেহা বেগম। ছবি : কালবেলা

উঠানে হাঁটুর ওপরে পানি, রাস্তায় কোমর পানি আর ঘরে এখনো টাকনুর উপরে পানি। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র ঘরটি একদিকে দেবে কাত হয়ে যাচ্ছে। রান্নার চুলা, টয়লেট সবই পানির নিচে। উপায়ান্তর না দেখে পরিবারের ৬ সদস্যকে নিয়ে উঠেছেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে।

এভাবেই দিন পার করছেন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার উত্তরদা ইউনিয়নের রামপুর মধ্যপাড়া বেপারি বাড়ির বানভাসী বিধবা সালেহা বেগম (৫৫)।

জানা গেছে, একমাত্র ছেলে শাহাদাত হোসেনের বয়স যখন ২ বছর তখন তার স্বামী রফিকুল ইসলাম মারা যান। ছেলে বড় হলে বিয়ে দেন পার্শ্ববর্তী গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে। ছেলের শ্বশুর নেই, শাশুড়িও প্রতিবন্ধী। দরিদ্র পরিবার। ৩ নাতি-নাতনি, বউ-ছেলে নিয়ে তাদের জীর্ণশীর্ণ ঘরেই নিয়েছেন আশ্রয়।

সালেহা বেগম বলেন, বন্যার শুরুতে প্রায় এক সপ্তাহ ঘরেই ছিলাম। সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ বা কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি। মাথা গোঁজার ঠাঁই একমাত্র ঘরটি পশ্চিম-দক্ষিণে হেলে গেছে। খুঁটিগুলোতে ফাটল ধরেছে। আবার কোনোটি ভেঙেও পড়ছে।

সালেহা বেগমের ছেলে শাহাদাত হোসেন জানান, অটোরিকশা চালিয়ে সাড়ে চারশ-পাঁচশ টাকা আয় হতো। মালিকের জমা দিতে হয় সাড়ে তিনশ টাকা। বাকি এক-দেড়শ টাকায় সংসারের কিছু্ই হয় না। আর এখন ভাড়াও তেমন নেই। বর্তমানে মালিকের জমাও ওঠে না। এজন্য বেকার বসে আছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যা ২০২৪
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিচ্ছেদের পর এই প্রথম এআর রাহমানের পোস্ট

লঘুচাপের শঙ্কা, এরপরই জেঁকে বসবে শীত

রংপুর জিলা স্কুল মাঠ নয়, মাহিগঞ্জ কলেজে হচ্ছে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশ

ঢাকা লিগে নিষিদ্ধ ৮ ক্রিকেটারসহ ৯জন

মালয়েশিয়ায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

জীবননগরে সাবেক পৌর মেয়র গ্রেপ্তার

অ্যান্টিগায় মাঠে নামলেই রেকর্ড করবেন মিরাজ

ক্যান্টনমেন্টের বাড়িটি খালেদা জিয়াকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি আলালের

কনসার্ট শেষে মাঠ পরিষ্কার করল ঢাকা কলেজ ছাত্রদল

পটুয়াখালীতে শ্রমিকদল নেতা বহিষ্কার

১০

ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতির পেছনে কলকাঠি নেড়েছে সৌদি, বুশরা বিবির দাবি

১১

১৫ বছর পর আগুন…

১২

সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিষয়ে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

১৩

ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হবে : বাকৃবি উপাচার্য

১৪

চাকরি দিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স 

১৫

ফ্যাসিবাদ নির্মূলে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান : আদিলুর

১৬

সেতু সংস্কারে ধীরগতি, দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

১৭

লেবানন থেকে আরও ৮২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন

১৮

জবি শিক্ষককে হত্যার হুমকির অভিযোগ, থানায় জিডি

১৯

আইপিএল নিলামের তালিকায় ফিরলেন আর্চার

২০
X