শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
দেবীগঞ্জ (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বন্যায় ভেঙেছে পাকা সড়ক, ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে তিস্তা নদী সংলগ্ন শেখবাধাঁ-গাজকাটি সড়কটির ক্ষতিগ্রস্ত একটি অংশ। ছবি : কালবেলা
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে তিস্তা নদী সংলগ্ন শেখবাধাঁ-গাজকাটি সড়কটির ক্ষতিগ্রস্ত একটি অংশ। ছবি : কালবেলা

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীসংলগ্ন শেখবাঁধা-গাজকাটি সড়কটির প্রায় ৫০ ফুট বন্যার তোড়ে ভেঙে গেছে। এতে সড়কটিতে চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। পাকা সড়ক ভাঙার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো সংস্কার করা হয়নি। চলছে না বড় কোনো যানবাহন। তাই বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন ১০ হাজার মানুষ। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেবীগঞ্জ-ভাউলাগঞ্জ সড়কের শেখবাঁধা মোড় থেকে গাজকাটি বাজার যাওয়ার পথে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটির অবস্থান। ভাঙা সড়কের নিচের অংশে তিস্তার শাখা নদী প্রবহমান। ফলে ভাঙা অংশটি থেকে নিচে প্রায় ২০ ফুট গর্ত তৈরি হয়েছে। একটি বাঁশের খুঁটিতে লাল কাপড় ঝুলিয়ে রেখে পথচারীদের সতর্ক করা হয়েছে।

জানা যায়, গাজকাটি ও শেখবাঁধা এলাকার ৬টি গ্রামের মানুষের চলাচল ও গাজকাটির লোকজনের উপজেলা সদর কিংবা পঞ্চগড় জেলা শহরে যাওয়ার অন্যতম প্রধান সড়ক এটি। এ ছাড়া টেপ্রীগঞ্জ, শেখবাঁধা, রামগঞ্জ বিলাসীসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পার্শ্ববর্তী নীলফামারী জেলার আমবাড়ী, গোমনাতি মির্জাগঞ্জ বাজার যাতায়াতের জন্য এ পথ ব্যবহার করে থাকেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের কাছে তিস্তা নদীর ওপর একটি সেতু রয়েছে, সেতুর ঠিক ১০০ গজ পশ্চিমে সড়কটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশ। এই সড়কটি ৫০০ মিটার পশ্চিমে গাজকাটি উচ্চ বিদ্যালয় ও গাজকাটি বাজার।

গাজকাটী এলাকার জামরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, রাতের বেলা এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অন্ধকারে বোঝার কোনো উপায় নেই সড়কটি ভাঙা আর নিচে বিরাট গর্ত। এ সড়কে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস চলাচল করতে পারত। এখন একটা ভ্যানে মালমাল নিয়ে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।

একই এলাকার মোজাম্মেল হক জানান, ৩ মাস ধরে বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে দিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। এখন পর্যন্ত কেউ রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে সাইকেলে চড়ে স্কুলে যায়, তারাও যেকোনো সময় বিপদে পড়তে পারে।

এ বিষয়ে টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সরকার বলেন, ‘সড়কটিতে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি, তাই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তা মেরামত করা সম্ভব ছিল না। উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। সড়কটি দ্রুত মেরামতের বিষয়ে তিনি আশ্বস্ত করছেন।’

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহারিয়ার ইসলাম শাকিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়কটি মেরামতের জন্য এরই মধ্যে আমরা প্রকল্প প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। আশা করছি, আর অল্প সময়ের মধ্যে মেরামতের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল গৃহবধূর

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান আটক

দেশের ৩ অঞ্চলে হিট ওয়েভের শঙ্কা

ঢাকাস্থ গণচীনের দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ

চট্টগ্রামে হাতকড়া পরে ফিরল সাবেক এমপি ফজলে করিম

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রতিরোধে একমত যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্স

প্রধান উপদেষ্টার / সহকারী প্রেস সচিব হলেন দুই তরুণ সাংবাদিক

শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব, শিক্ষাব্যবস্থায় অচলাবস্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে ধূম্রজাল

গণপিটুনির ঘটনায় / জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার

১০

জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তারেক রহমান

১১

বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার দাবি লায়ন ফারুকের

১২

জাবিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা, এক সমন্বয়ককে অব্যাহতি

১৩

ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের

১৪

মাদারীপুরে কৃষককে পিটিয়ে হত্যায় মানববন্ধন

১৫

জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের টাওয়ার পদ্মায় বিলীন

১৬

দীঘিনালায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ

১৭

তিন মাস ধরে ১৪০০ চা শ্রমিকের মজুরি বন্ধ

১৮

নীতিমালার খসড়া অনুমোদন / সম্পদের হিসাব দিতে হবে উপদেষ্টাদেরও

১৯

জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের টাওয়ার পদ্মায় বিলীন

২০
X