ফেনীতে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের ডান চোখের প্রদীপ নিভে গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীর মা হাসিনা আক্তার বলেন, গত ১৪ মে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ওয়াজেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাসে যান মাহেদুল হাসান।
গণিতে ভুল করার অভিযোগে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস মজুমদার ওই ছাত্রকে বেত্রাঘাত করেন। পরে ছাত্রের চিৎকারে স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারী ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এক মাস চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ভারতের চেন্নাই শংকর নেত্রালয় হাসাপাতালে পাঠানো হয়। তারা মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে জানান, তার চোখের মণি থেকে পানি সরে গেছে। ভিতরে ক্ষত রয়েছে। তার চিকিৎসা চলবে। বাকি বাঁ চোখে এফেক্ট হতে পারে। তারা হতাশ হয়ে ফিরে আসেন। এ পর্যন্ত শিক্ষক সমিতি থেকে শুরু করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দাগনভূঞা উপজেলার জগতপুর এলাকার ডাক্তারবাড়ির প্রবাসী রেয়াজুল হকের ছেলে মাহেদুল হাসান। আর অভিযুক্ত শিক্ষক উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের কামিনী মজুমদারের ছেলে।
আহত মাহেদুল হাসানের বাবা রেয়াজুল হক কালবেলাকে বলেন, ‘শিক্ষক তাপস মজুমদারের বেত্রাঘাতে আমার ছেলের ডান চোখ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি ওই শিক্ষকের শাস্তি চাই। বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক তাপস মজুমদারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন