জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেছেন, বিচারের নামে তামাশা করে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, মীর কাশেম আলী, মুহ. কামরুজ্জামানকে হত্যা করা হয়েছে। জেলখানার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে গোলাম আজম ও সাঈদীকে। তারা ভেবেছিল জামায়াত শেষ হয়ে যাবে। জামায়াত কিন্তু শেষ হয়নি।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর শাহজাদপুর সরকারি কলেজ মাঠে একটি দল ছাড়া অন্য কোনো দল মিটিং করতে পারেনি। ১৫ বছর দেশের মানুষের ওপর জেল-জুলুম নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার চালানো হয়েছে। যারা সরকারের বিরুদ্ধে বলেছেন, তিনি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হন, ব্যবসায়ীহ হন, সাংবাদিক হন অথবা সমাজের যে শ্রেণির মানুষই হন তাদের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে। হয় তাকে গুম, নয় তাকে খুন করা হয়েছে অথবা জেলে দেওয়া হয়েছে। বিডিআর বিদ্রোহের নামে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল বারবার আন্দোলন করেছে। কোনো আন্দোলনই যৌক্তিক পরিণতি লাভ করে নাই। কিন্তু এবারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে প্রথমে আন্দোলন করেছে ছাত্ররা। পুলিশ র্যাব আর সন্ত্রাসী দিয়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা করেছে।
জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, এই ফ্যাসিবাদী ঘষেটি বেগম তার পালিত বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যত লাশ পড়ে ফেলে দাও। তবুও তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। অবশেষে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলেন। তিনি শুধু একাই পালাননি, গুষ্টিশুদ্ধ পালিয়ে গেছেন।
শাহজাদপুর সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাও. মিজানুর রহমান। সেক্রেটারি মাস্টার আব্দুল মালেকের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহিনুর আলম। বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের আমীর আরিফুল ইসলাম সোহেল।
এ ছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, উল্লাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক শাহজাহান আলী, এনায়েতপুর থানা জামায়াতের আমীর ডা. সেলিম রেজা, শাহজাদপুর উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাও. আব্দুল খালেক প্রমুখ।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শাহজাদপুরের সুজন ও অন্তরের পরিবারকে আর্থিক অনুদান তুলে দেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন।
মন্তব্য করুন