ফরিদপুরে মিনিবাস ছিনতাই করতে এসে চালকের সহকারী সাদ্দাম শেখকে হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় আসামিদের ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই অপরাধে আরেক আসামিকে পাঁচ বছরের যাবজ্জীবন ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডের শিকার সাদ্দাম শেখ ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আতিয়ার শেখের ছেলে।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার বাসিন্দা মো. জনি মোল্লা (২৯), সুফি আব্দুল বারী সড়ক এলাকার মো. মেহেদী আবু কাউসার (২৪), রথখোলা রবিদাসপল্লীর রাজেস রবিদাস (২৮), গোয়ালচামট ২ নম্বর সড়ক এলাকার মো. রবিন মোল্লা (২৪) ও সালথা উপজেলার রসুলপুর এলাকার সাজ্জাদ হোসেন (২৫)। পাঁচ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলমগীর হোসেন পাঠান (৩৬) ফরিদপুর শহরতলীর বদরপুর এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর রাতে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি মহল্লার আব্দুল করিম মিয়া সড়কের বাসিন্দা মো. জয়নাল আবেদীন (৭১) এর মালিকানাধীন নূপুর পরিবহনের একটি বাস শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে হারিয়ে যায়। বাসটি ফরিদপুর-খুলনা রুটে চলাচল করত।
ওই রাতে বাসটিতে চালকের সহকারী সাদ্দাম শেখ বাসের ভেতর ঘুমিয়ে ছিলেন। আসামিরা বাসটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরেরদিন সকালে ভাঙ্গা গোলচত্বরে দুটি চাকা খোয়া যাওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় বাসটি। বাসের ভেতরে সহকারী সাদ্দামের হাত-পা বাধা মরদেহ পাওয়া যায়।
ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (ভারপ্রাপ্ত পিপি) মো. সানোয়ার হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দণ্ডবিধি ১৮৬০ সালের ৩৯৬ ধারায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন ও একই আইনের ৪১২ ধারায় একজনকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
মন্তব্য করুন