ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনে বাধা ও লোকজনের ওপর হামলা এবং আটকের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার খাড়েরা এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় তারা প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। তারা মাগরিবের নামাজও আদায় করেন মহাসড়কে। ফলে দুই পাশে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়। তাদের কর্মসূচি শেষ হলে রাত সাড়ে ৭টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উপজেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সভাপতি পুরকুইল দরবার শরিফের পীর মাওলানা ছদর উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতি গিয়াস উদ্দিন আত তাহেরী।
এ সময় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা গত সোমবার জশনে জুলুশে বাধা ও হামলা করাসহ আটক সমর্থক মীর ছফিউল্লাহকে মুক্তির দাবি করেন এবং হেফাজত নেতা গাজী ইয়াকুব উসমানী, জয়নাল আবেদীন জালালী ও কামাল উদ্দিন দায়েমীসহ জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনির হোসেন জানান, গত সোমবার সংঘর্ষের ঘটনায় ছফিউল্লাহ নামে একজনকে আটক করা হয়। দুপুরে তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনকে কেন্দ্র করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সমর্থক ও হেফাজতে ইসলাম সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সোমবার উপজেলার কদমতলী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় উপজেলার কদমতলী এলাকা। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে প্রায় তিন ঘণ্টা পর পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সময় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সমর্থক মো. ছফিউল্লাহকে আটক করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন