নেতা পরিচয়ে এক শিক্ষক পরিবারের জায়গা দখলের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌরশহরের মালদারপাড়ায় প্রয়াত শিক্ষক আব্দুল আওয়ালের ছেলে প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম আসিফ এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় তার মা উপজেলার নূরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রীনা বেগম, তার স্ত্রী ও এক ভাড়াটিয়া উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে মো. রিয়াজুল ইসলাম আসিফ অভিযোগ করে বলেন, আমি চাকরি সূত্রে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকি, বাড়িতে আমার মা একা থাকেন।
আমার পাশের বাড়ির বাসিন্দা শিমুল ভূঁইয়ার সঙ্গে আমাদের দখলীয় ১ দশমিক ৩১ শতক ভূমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। পূর্ববিরোধের জের ধরে শিমুল ভূঁইয়া আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত রয়েছে। নানা সময়ে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছে।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শিমুল ভূঁইয়া নিজেকে যুবদল নেতা পরিচয় দিয়ে তার বাহিনী নিয়ে আমার বাড়ি ভাঙচুর করে বাসার গেট, দরজা, মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং বাড়ি দখল করার চেষ্টা করে। আমার ভাড়াটিয়াকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হুমকি দিয়ে গালাগাল করে। বিষয়টি আমরা সেনাবাহিনী এবং থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর টিম পরিদর্শনে আসে। শিমুল ভূঁইয়া তাদের দালাল পুলিশ বলে হইচই করলে চলে যায়।
বিষয়টি আমি সামাজিকভাবে সমাধানের জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় না। তারা আমার জমি জোর করে দখল করে নিয়ে যাবে অথবা আমাকে মেরে ফেলবে। যুবদলের নাম ব্যবহার করা শিমুল ভূঁইয়া একা নয়, তারা একটি ভূমিদস্যু সংঘবদ্ধ চক্র। এ অবস্থায় আমরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা সরকারের কাছে ন্যায়বিচার চাই।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলম কালবেলাকে বলেন, বিএনপি অনেক বড় সংগঠন। আমাদের অনেক নেতাকর্মী-সমর্থক আছে। তবে শিমুল ভূঁইয়া কোনো পদে আছে কিনা আমি জানি না। থাকলেও কারও জায়গা-সম্পত্তি দখল করলে সেটা আমরা সমর্থন করি না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিমুল ভূঁইয়া কালবেলাকে বলেন, বিএস মূলে এ জায়গার মালিকানা আমাদের। তাদের সঙ্গে মামলা চলমান আছে। হুমকি দেওয়ার তথ্য সঠিক নয়।
মন্তব্য করুন