নাটোরের গুরুদাসপুরে নেশার টাকার জন্য হারেজ আলী (৮০) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বৃদ্ধার স্ত্রী হলেদা বেগম (৭০)-কে কুপিয়ে জখম করে তারা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার বৃ-চাপিলা আদর্শ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হারেস উদ্দিন বৃ-চাপিলা গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- বৃ-চাপিলার আদর্শগ্রামের মো. ইউসুফ আলীর ছেলে মাসুদ (৩০), মো. মমিনের ছেলে সুমন আলী (৩০) ও মোজাফ্ফরের ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম (২০)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হারেজ আলী একটি পুকুরের লিজ বাবদ সোমবার ৯ লাখ টাকা পান। মূলত সেই টাকা লুট করার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার ভোরে হারেজ আলীর বাড়িতে হামলা চালান পাঁচ দুর্বৃত্ত। বিছানার নিচে রাখা ৯ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাটের সময় বাধা দেয় হারেজ ও তার স্ত্রী হলেদা বেগম। এসময় দুবৃর্ত্তরা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের চিৎকারে পালানোর সময় মাসুদ নামের একজনকে আটক করে এলাকাবাসী।
এসময় ঘটনাস্থলেই হারেজ আলীর মৃত্যু হয় এবং গুরুতর জখম অবস্থায় তার স্ত্রী হলেদা বেগমকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে স্থানীয়রা খবর দিলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সকাল ৮টার দিকে হারেজ আলীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলেই এলাকাবাসীর হাতে আটক হওয়া মাসুদকে জিজ্ঞাসাবাদে সুমন ও মনিরুল নামে আরও দুজনকে আটক করে পুলিশ। বাকি দুজন পলাতক রয়েছে। টাকা ও স্বর্ণালংকার এখনো উদ্ধার হয়নি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে। নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) একরামুল হক কালবেলাকে বলেন, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। আটককৃত মাসুদকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে জড়িত চারজনের নাম বলার পর সুমন ও মনিরুলকে আটক করা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন