কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বৃষ্টিতে ভেসে গেছে ৭ হাজার মাছের ঘের

বাগেরহাটে বৃষ্টিতে ভেসে গেছে মাছের ঘের। ছবি : সংগৃহীত
বাগেরহাটে বৃষ্টিতে ভেসে গেছে মাছের ঘের। ছবি : সংগৃহীত

বাগেরহাটে টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভেসে গেছে প্রায় ৭ হাজার মাছের ঘের। অনেক চাষি আবার নেট নিয়ে শেষ রক্ষার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। সব মিলিয়ে কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে চাষিদের।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিরামহীন বৃষ্টিতে অন্তত ৭ হাজার ঘের ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবারের বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গলদা চিংড়ি উৎপাদনের অন্যতম এলাকা জেলার ফকিরহাট, চিতলমারী ও মোল্লাহাট উপজেলার চাষিরা। সেইসঙ্গে মোংলা, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার চাষিদের ক্ষতির পরিমাণও কম না।

ফকিরহাট উপজেলার ফলতিতা এলাকার মফিজুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির পানিতে ঘের ডুবে একাকার হয়ে গেছে। ঘেরের পাড়ের ওপর হাঁটুপানি। নেট, কচুরিপানা ও ঘাস দিয়ে মাছ ভেসে যাওয়া ঠেকানোর চেষ্টা করেছি।

মোল্লাহাট উপজেলার কাহালপুর গ্রামের নাসির মিয়া বলেন, আমার ৫০ বিঘার দুটি ঘেরসহ আশপাশের সবার ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকার মানুষের কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।

এদিকে ফকিরহাট, চিতলমারী ও মোল্লাহাটের বিভিন্ন এলাকায় খেওলা জাল দিয়ে পানিতে ভেসে যাওয়া মাছ ধরতে দেখা যায় স্থানীয়দের। প্রতিটি জালেই চিংড়ি, রুই, কাতলা, মৃগেল, মিনারকার্পসহ বিভিন্ন প্রকার চাষের মাছ পাওয়া যাচ্ছে। কেউ কেউ থলে ভর্তি মাছ পেয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান বলেন, মাছ চাষিরা আর্থিকভাবে খুব বিপদে পড়েছেন। আমরা তাদের খোঁজখবর নিচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম রাসেল বলেন, প্রায় প্রতি বছরই বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে ঘেরের মাছ ভেসে যায়। আবার শুকনো মৌসুমে পানির অভাবে মাছ মারা যায়। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচতে ঘেরের গভীরতা ও পাড়ের উচ্চতা বৃদ্ধির করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

র‌্যাবের বিষয়ে যে সুপারিশ

৩ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

সীমান্তের কাঁটাতারে এবার মদের বোতল ঝোলাচ্ছে বিএসএফ

‘ক্ষমতায় আসার আগেই একটি দল চাঁদাবাজি ও দখলদারি শুরু করেছে’

বিএসএফের হাতে আটক বাংলাদেশিকে ফেরত আনল বিজিবি

‘বাঙালি’ নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশি’ করার সুপারিশ

৫০০ টাকা নিয়ে কথাকাটাকাটি, প্রাণ গেল ইসরাফিলের

রুয়েটের প্রশাসনিক ভবনে তালা, ক্যাম্পাস শাটডাউন ঘোষণা

পাঁচ ধাপে পুলিশের বলপ্রয়োগের সুপারিশ

আমদানিতে খরচ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা

১০

রেস্তোরাঁ খাতে ভ্যাট পুনর্বিবেচনা করবে এনবিআর

১১

জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ড জয় ভারতের

১২

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রোগ্রামার শাহেদা মুস্তাফিজকে নিয়ে রাহিতুলের বই

১৩

বাপার সংবাদ সম্মেলন / ‘পরিবেশ রক্ষায় প্রতিবন্ধক আমলারা, বন্ধু হচ্ছে জনগণ’

১৪

সর্বক্ষেত্রে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করুন : সাবেক এমপি হাবিব

১৫

জুলাই ঘোষণাপত্র ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার অবৈধ : ফরহাদ মজহার

১৬

ভ্যাট-ট্যাক্স বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান

১৭

ঢাকায় নাটোরবাসীর মিলনমেলা শুক্রবার

১৮

সোনারগাঁয়ে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসব

১৯

বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তনের সুপারিশ সংবিধান সংস্কার কমিশনের

২০
X