কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। এ ঘটনায় ৩০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মীর মিলন (৫০)। তিনি ছয়সূতি এলাকার একটি কাঠের স মিলের স্বত্বাধিকারী বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের ছয়সূতি এলাকায় স্থানীয় আহলে সুন্নাত আল-জামাত বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলার প্রতাব নাথ বাজার থেকে ঈদে-মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুস বের করে। একই সময়ে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইমাম ওলামা পরিষদ নামে ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড ‘সিরাতুন্নবী’ হিসেবে পরিচিত আরেকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। ঈদে-মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসটি কুলিয়ারচরের ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যেতে চাইলে সংঘর্ষের আশঙ্খায় স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসন থেকে তাদের নিষেধ করা হয়।
এ সময় জশনে জুলুসে অংশ নেওয়া কিছু লোক নিষেধ অমান্য করে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে সেখানে এক পর্যায়ে আহলে সুন্নাত আল-জামাত ও ইমাম ওলামা পরিষদের অনুসারীদের মাঝে পাল্টাপাল্টি দাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ী মিলন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা মিলনকে উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তার অবস্থা অবনতি হলে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাতেমাতুয জোহরা কালবেলাকে সংঘর্ষের ঘটনায় মীর মিলন মিয়ার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন