সিগারেট না দেওয়ায় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে বাঁশের আঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের কাইয়ারগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. কুরবান আলী (২৭) কাইয়ারগাঁও গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে। নিহত কুরবান আলীর ৪ ও ২ বছরের দুই মেয়ে রয়েছে। এদিকে এ ঘটনায় ঘাতক একই গ্রামের পণ্ডিত মিয়ার ছেলে আবেদিনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, নিহত কুরবান আলী একজন নৌ-শ্রমিক। রোববার দুপুরে তিনি নদীর পাড়ে বসেছিলেন। এ সময় ঘাতক আবেদিন তার কাছে সিগারেট চায়। সিগারেট না দিলে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং একপর্যায়ে ঘাতক আবেদিন বাঁশ দিয়ে আঘাত করলে মো. কুরবান আলী মারা যান।
নিহতের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, আমার চাচাতো ভাই নদীর পাড়ে বসে ছিল। এ সময় ঘাতক আবেদিন বাজার থেকে এসে আমার ভাইয়ের কাছে সিগারেট চায়। সিগারেট না দেওয়ায় আমার ভাইয়ের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আমার ভাইকে বাঁশ দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে আমার ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গ্রামের ছোট পোলাপান (ছেলেমেয়ে) আমাকে বাড়িতে গিয়ে বলে তোমার ভাই নদীর পাড়ে পড়ে রয়েছে। আমি সেখানে (নদীর পাড়ে) গিয়ে ভাইয়ের (মো. কুরবান আলী) নিথর দেহ দেখতে পাই।
তিনি আরও বলেন, এরপরও ঘাতক আবেদিন ও তার তিন ভাই আশিক, আলাদিন, আকিবল আমাদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয়। এসময় গ্রামের কিছু লোক এসে তাদের আটকায়। পরবর্তীতে আমার ভাইকে নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে যাই।
নিহতের শ্বশুর ময়না মিয়া বলেন, নিহত মো. কুরবান আলীর দুইটা বাচ্চা আছে। এখন তাদের কী হবে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ বলেন, ঘাতক আবেদিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন