প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বন্যাপরবর্তী পরিস্থিতি কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা কীভাবে ক্লাসে ফিরছে আমরা তা দেখতে এসেছি। সরেজমিনে এসে দেখলাম তোমরা বন্যার ভয়াবহতা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কাটিয়ে উঠেছ। বন্যাপরবর্তীতে গত দুই সপ্তাহ ধরে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি খুব দ্রুত সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করতে পারি। ইতোমধ্যে বন্যার পানি কমে গেছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চান্দকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সারা দেশে বন্যার পানিতে ২৭৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে আমরা সব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে জুম মিটিং করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের বিদ্যালয় অবকাঠামো, বই, চেয়ার ও টেবিল নষ্ট হয়েছে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর মিলে সমন্বয় করে খুব কম সময়ের ভেতরে কাজগুলো শেষ করতে পারি সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা যেন আমরা দ্রুত গুছিয়ে নিতে পারি সে দিকেই নজর দিচ্ছি। আমাদের বরাদ্দ বা সম্পদের অভাব নেই। তাই স্থানীয়ভাবে সমন্বয় করে কাজ শেষ করতে পারব বলে আশাবাদী। আমাদের বিশ্বাস, আমরা আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যেই পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাব এবং যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে পারব সবার সহযোগিতায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন, বিভাগীয় উপপরিচালক (প্রাথমিক) শিক্ষা ড. শফিকুল ইসলাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম, সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাহিদা আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহমত উল্লাহ, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরওয়ার লিমা, চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আকতারুজ্জামান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সকিনা আক্তার।
মন্তব্য করুন