নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই শাখার শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৩০ শিক্ষার্থী আহতের খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী উপজেলার কাঞ্চন ব্রিজ এলাকায় অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ৪ তারিখে ক্লাস শেষে ল’ ডিপার্টমেন্ট, সিএসসি ডিপার্টমেন্ট ও ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের জিগাতলা এলাকার শিক্ষার্থীরা ভার্সিটির বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় বাসে সিট পাওয়া নিয়ে সিএসসি ডিপার্টমেন্ট ও ল’ ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় পাশে থাকা ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা ল’ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিতভাবে কিল-ঘুসি মারতে শুরু করেন। পরে দুই ডিপার্টমেন্টের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি হয়।
পরে ফের ৮ তারিখে ল’ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এলে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালান ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। পরে ল’ ডিপার্টমেন্টের ক্লাস বন্ধ করে দেয় ভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। গত ৭ দিন ধরে অনলাইনে ক্লাস চলে। বিষয়টির সমাধানের কথা বলে গতকাল শনিবার সকালে ল’ ডিপার্টমেন্ট অফলাইনে ক্লাস করতে ক্যাম্পাসে এলে তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা।
পরে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে ভিসি ডা. চৌধুরী মফিজুর রহমান ল’ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা ভবনে ডেকে নিয়ে বিচারের নামে তিরস্কার করেন। পরে এখান থেকে বিজয় ভবনে ফেরার পথে গেট আটকে দেয় ফার্মেসি ডিপার্টমেন্ট। একপর্যায়ে শিক্ষকদের আশ্বাসে ল’ ডিপার্টমেন্ট বিজয় ভবনে যাওয়ার পথে আবারও হামলা চালান ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। এতে দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন।
গুরুতর আহত অবস্থায় ইউনিভার্সিটির পিয়ন আলম হোসেন, ল’ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী শান্ত, শাওন, রাফি, আরমিনসহ বেশ কয়েকজনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বারবার হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাসে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেন অভিভাবকরাও।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্টেট ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার (অব.) জিয়াউল হক কালবেলাকে জানান, পরিস্থিতি শান্ত আছে। ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান করা হবে। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম কালবেলাকে জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।
মন্তব্য করুন