নাটোরের বড়াইগ্রামের কচুগাড়ি এলাকায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কচুগাড়ি গ্রামবাসীর উদ্যোগে স্থানীয় বিলে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় ‘ক’ গ্রুপে বড়াইগ্রামের কচুগাড়ি গ্রামের নৌকা ফাতেমা পরিবহন প্রথম, সোনার তরী দ্বিতীয় এবং আরিফ এক্সপ্রেস তৃতীয় হয়েছে। এ ছাড়া ‘খ’ গ্রুপে মিথিলা এক্সপ্রেস প্রথম, মিলন এক্সপ্রেস দ্বিতীয় এবং নয়ন এক্সপ্রেস তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
প্রতিযোগিতা শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি শিক্ষাবিদ মজনু মোহাম্মদ ইসহাক বিজয়ীদের হাতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে একটি এলইডি টিভি, দ্বিতীয় পুরস্কার মোবাইল ফোন ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে একটি করে প্রেশার কুকার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে চলনবিল প্রবাহ সম্পাদক মাহমুদুল হক খোকন, কচুগাড়ি ফকিরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমএম জামান হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক সাব্বির হোসেন রতন, চলনবিল প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আককাছ, বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি অহিদুল হক, গুরুদাসপুর প্রেস ক্লাব সভাপতি সাজেদুর রহমান, ইউপি সদস্য সুজন আলম, সমাজসেবক হাসানুজ্জামান জয়, সাফিউল্লাহ তোতা ও তাইজুল ইসলাম বিদ্যুৎ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, ফাইনালে মোট ৮টি নৌকা অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি নৌকায় ৩০-৩৫ জন করে মাল্লা ছিলেন। পানিতে বৈঠা চালানোর ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর মাল্লাদের ইয়া আলী, হেঁইও হেঁইও, আল্লাহ আল্লাহ... ধ্বনির সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের করতালি ও হর্ষধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো বিল।
বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর ও পাবনার চাটমোহর উপজেলার হাজার হাজার নারী-পুরুষ-শিশুরা বিলুপ্তপ্রায় এ বাইচ উপভোগ করতে শত শত নৌকায় চড়ে সমবেত হওয়ায় বিলজুড়ে এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের অবতারণা হয়।
মন্তব্য করুন