ফ্যাসিবাদী হাসিনা আমার পিতাকে হত্যা করেছে। আমার পিতা নির্দোষ ছিলেন, তিনি জীবনে কারও একবিন্দু ক্ষতি করেননি। আমার পিতা শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার জন্য বুকের তাজা রক্ত এই জমিনে ঢেলে দিয়েছেন। কিন্তু স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করেছে। হত্যার কারণ হলো, হাসিনা সরকার ইসলাম পছন্দ করে না।
এই ফ্যাসিবাদী, খুনি, ডাইনি হাসিনা এবং আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্গার তার দোসর এই হত্যায় সহযোগিতা করেছে। তাদের সবাইকে বিচারের কাঠগরায় দাঁড়াতে হবে। আপনাদের প্রিয় নেতা একজন শহীদ। তিনি ইসলামী দিন কায়েমের জন্য কাজ করেছেন এবং নিজের জীবন দিয়ে দিয়েছেন।
হাজারো ফ্যাসিবাদী হাসিনার জানের চেয়ে এই শহীদদের একফোঁটা রক্তের দাম আল্লাহর কাছে অনেক বেশি। সুতরাং হাজারো হাসিনাকে ফাঁসি দিয়ে এই শহীদদের বদলা হবে না। এই শহীদদের রক্তের বদলা তখনই হবে, যখন এই জমিনে কালেমার পতাকা উড়বে, ইনশাআল্লাহ।
আমরা আশা করব, সরকার এই জঘন্যতম হত্যার ন্যায়বিচার করবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমি যেন আমার পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো করতে পারি। যতদিন বেঁচে থাকি ততদিন যেন এই জমিনে দিনের পথে কাজ করে যেতে পারি। আপনারা ইসলাম কায়েমের জন্য কাজ করে যাবেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনার সাঁথিয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সাঁথিয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে দীর্ঘ আট বছর পর উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের মনমথপুর শহীদ আমিরে জামায়াত মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিলে তার ছেলে ব্যারিস্টার মাওলানা নাজিবুর রহমান মোমেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সকাল ১১টায় সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি তাকে সাঁথিয়া-বেড়ার হাজার হাজার জামায়াত নেতাকর্মী তাকে গাড়িবহর নিয়ে রিসিভ করেন এবং অভ্যর্থনা দেন। সেখান থেকে সাঁথিয়া আসার পথে বেড়ার সিঅ্যান্ডবি বাসস্ট্যান্ডে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে আট বছর পর তার নিজ এলাকায় আসার খবরে এলাকায় মানুষের ঢল নামে।
মন্তব্য করুন