ছোট একটা ঝুপড়িঘর, নেই চাল। বৃষ্টি আসলেই থাকতে হয় অন্যের বারান্দায়। মানুষের কাছে হাত পেতে ক্ষুধা হয়তো মেটানো যায় কিন্তু থাকার ব্যবস্থা হয় না। এভাবেই মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রতিবন্ধী নজরুল ইসলাম দম্পতি।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা ইউনিয়ন ভরনীখন্ড গ্রামর মেম্বার বাড়ির আবদুল হাইয়ের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৪০)। বন্যায় সব কিছু হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন তিনি ও তার স্ত্রী।
নজরুল ইসলামের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, মানুষের কাছে হাত পেতে তাদের দিন কাটে। তাতে খেয়েপড়ে কোনো রকমে বেঁচে থাকলেও একটি ঘর না থাকায় বসবাস করতে খুবই কষ্ট হয় তাদের।
তিনি বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে খুবই অসুস্থ। ওষুধ তো দূরের কথা, তিনবেলা ভাতও জোটে না আমাদের। এ ভয়াবহ বন্যায় আল্লাহ আমাদের কাছ থেকে বসবাসের একমাত্র সম্বল ঝুপড়ি ঘরটাও কেড়ে নিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইউপি সদস্য মো মাঈন উদ্দিন জানান, নজরুল ইসলাম একজন অসহায় ও প্রতিবন্ধী মানুষ। নজরুল ও তার ছেলে মুনতাসীর (২) দুজনেই প্রতিবন্ধী। তাদের শেষ সম্বল ছিল বসতঘর। বন্যার কবলে পড়ে মাটিতে মিশে গেছে সেই ঘরটিও।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা বলেন, এ বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি। আপনার মাধ্যমে জেনেছি। আমি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রশাসনিকভাবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে চেষ্টা করব।
মন্তব্য করুন