বন্যা-পরবর্তী সময়ে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বন্যার্ত শতাধিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে আমন ধানের চারা বিতরণ করেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা কৃষক দল।
বন্যা-পরবর্তী সময়ের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তারা। পানি নেমে যাওয়ার পর দ্রুত এ চারা সরবরাহ করা গেলে খাদ্য সংকট মোকাবিলা করে চাল আমদানি খরচ হ্রাস করা সম্ভব হবে জানিয়েছেন তারা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে রায়পুর উপজেলার কৃষক দলের-কর্মীসহ অন্তত ১০০ জনকে এ চারা বিতরণ করেন বলে জানান উপজেলা কৃষক দল সভাপতি কাউছার মোল্লা।
এ সময় রায়পুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মিঠু, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইমরান হোসেন, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব জিএম শামীম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন আরিফ, উপজেলা কৃষক দলের সব যুগ্ম আহ্বায়ক, বিএনপি নেতা ফিরোজ আলম কন্ট্রাক্টর, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রিপন মিয়াজী, ছাত্রনেতা আব্দুল কাদের দুলাল ও সাইফুল আলম প্রমুখ।
কাউছার মোল্লা বলেন, রায়পুরে ১৪ থেকে ১৬ দিন বন্যা ও টানা ভারী বর্ষণ ছিল। উপকূলীয় এলাকায় এবার আমন সিজনে ধান উৎপাদন করা সমস্যায় পড়বেন কৃষকরা। সে ক্ষেত্রে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে বিশাল পরিমাণে চাল আমদানি করতে হবে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের খুব দ্রুতই চারা তৈরি করা শুরু করতে হবে। যেন পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চারা সরবরাহ করতে পারে কৃষক।
এ বিষয়ে কৃষকদল নেতা জিএম শামিম বলেন, আমরা যত বেশি বীজ সংগ্রহ করতে পারবো তত বেশি বন্যা দুর্গত এলাকায় ধানের চারা রোপণ করতে পারবে কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্ত মেঘনা উপকুলীয় এলাকার কৃষকদের জন্য আরও ব্যবস্থা করতে পারলে বেশি ফলপ্রসূ হবে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মিঠু বলেন, কৃষকদলের এ উদ্যোগ বন্যা পরবর্তীতে রায়পুরের উপকুলীয় এলাকায় খাদ্য সংকট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আমরা নেতারা উপজেলা ও পৌর কৃষকদলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
ব্রি-৫২, ব্রি-৭১, ব্রি-৭৫, এবং বিনা-১৬, বিনা-১৭ ধানের জাতগুলো প্লাবিত এলাকাগুলোর জন্য উপযুক্ত হবে। ব্রি-৫২ জাতের ধান পানির নিচে ১৫ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। তবে নতুন করে বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে ২০ থেকে ৩০ দিন সময় লাগবে। বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি নেমে যাওয়ার পরপরই যেন চারা রোপণ করা যায় সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
মন্তব্য করুন