বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জয়পুরহাট পৌর এলাকার খনজনপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জয়পুরহাটে ওই মতবিনিময় সভায় রাজশাহী থেকে আসা বিভাগীয় সমন্বয়ক প্রতিনিধি দলের প্রধান হিসেবে মাহিন সরকার বক্তব্য দেন। তিনি ছাড়াও আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে জয়পুরহাটের নিহত পরিবারের সদস্য এবং আহতরাও বক্তব্য দেন।
মাহিন সরকার বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। এখন ছাত্র-জনতার ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং তাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ছাত্রদের মধ্যে কিছু ভাঙন ধরেছে, এটা ঠিক। কিন্তু কোনোভাবেই ঐক্য নষ্ট করা যাবে না। নিহত ও আহত পরিবারের মধ্য থেকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। রাষ্ট্রের সংস্কার প্রয়োজন, এজন্য অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
আহত ও নিহতের তালিকা করা হচ্ছে। এ তালিকা থেকে যেন কেউ বাদ না পড়ে, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। যারা চোখে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তাদের প্রয়োজনে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারকে চাপ দেওয়া হয়েছে। তাদের এ সফর এবং মতবিনিময় সভা কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। ছাত্র-জনতার বিজয়কে ধরে রাখতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখার পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে তাদের এ সফর।
আরও বক্তব্য দেন ইফতেখার আলম আসাদ, নিহত রিতা আক্তারের মা রেহেনা বেগম, নিহত বিশালের বাবা মজিবুল সরকার, আহত ইমন, আল-আমিন, রাকিব হাসান, রিমন প্রমুখ।
জয়পুরহাটে মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুররাতুল আইন কানিজ, সাইফুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফয়সল আহমেদ, আল রাকিব, ফাতিন মাহদি, সাদিকুল ইসলাম, ঐশিক মণ্ডল জয় ও ইমন হোসাইন।
বিকেলে জয়পুরহাট শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে ছাত্র-জনতার মধ্যে বক্তব্য দেন বলে স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছাত্ররা জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন