বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘এদের প্রতিহত করব, না হয় মরে যাব’

আন্দোলনে নিহত রাসেল মিয়া। ছবি : সংগৃহীত
আন্দোলনে নিহত রাসেল মিয়া। ছবি : সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পায়ে দুটি গুলি খেয়েও অনড় ছিল ১৯ বছরের রাসেল মিয়া। পরে মাথায় গুলি লাগে তার। গত ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে পাঁচটায় গাজীপুরের শ্রীপুর থানার মাওনা চৌরাস্তায় ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছেন রাসেলের বড় বোনজামাই মো. শামীম মিয়া।

আহত রাসেলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গাজীপুরের আল হেরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারা চিকিৎসা না দিয়ে ঝামেলা আছে বলে বিদায় করে দেয়। এরপর তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১১টায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহত রাসেল মিয়া নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের সুসং ডহরপাড়া গ্রামের মুন্সি মিয়া ওরফে নূরুল ইসলামের ছোট ছেলে। মুন্সি মিয়ার বাড়ি বারহাট্টায় হলেও ১৫ বছরের চেয়ে বেশি সময় ধরে সে রুজি-রোজগারের জন্য ঢাকায় থাকেন। নূরুল ইসলাম বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয়েও ঢাকায় রিকশা চালান। আর নিহত রাসেল সংসারের হাল ধরতে গার্মেন্টসে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে জানিয়েছে তার বোনজামাই শামীম মিয়া।

শামীম মিয়া বলেন, আমি তাকে নিয়ে একসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করি। পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েও সে রাস্তা ছাড়েনি। এরপর তারা (বিজিবি) আমার শ্যালককে মাথায় গুলি করে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট আন্দোলনে মৃত্যুর আগে প্রথমেই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় রাসেল। এরপর সবাই তাকে বলে তুমি হাসপাতালে যাও। সে বলে আমি এখান থেকে যাব না। এদের প্রতিহত করব, না হয় মরে যাব। পরক্ষণেই তার মাথায় একটি গুলি লাগলে সে মাটিতে পড়ে যায়।

ডহরপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেন বলেন, রাসেলের বাবা-মা অনেক দিন আগে থেকেই ঢাকায় থাকে। গ্রামে তার ভিটামাটি বলতে কিছুই নেই। ৬ আগস্ট সকাল ১০টায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তার চাচা কামরান হোসেন দুদু মিয়ার জায়গায় রাসেলকে কবর দেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাসেলের মৃত্যুর ভিডিওটি আপলোড দেওয়ার পর নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক রাসেলের কবর জিয়ারত করেন ও নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেন।

বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি বলেন, নিহতের পরিবারকে গত সোমবার ৫০ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে । এই পরিবারের ভিটেমাটি বলতে কিছু নেই। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠিয়েছি। পরে এই পরিবারটিকে আরও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: কোটা সংস্কার আন্দোলন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

যে কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং-প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ

নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

ভিডিও করায় সাংবাদিকদের ওপর বহিষ্কৃত এসপির হামলা

বিএসএমএমইউতে চোখের নীরব ঘাতক বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ শুরু

বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধান চালু রাখতে চায় রাশিয়া

নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশাচালককে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

‘রাখাল রাহার বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ অপপ্রচার’

ছাত্র হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গোলাম মর্তুজা ২ দিনের রিমান্ডে

মাদক মামলায় মডেল পিয়াসা খালাস

সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণ / স্ত্রী-সন্তানের পর চলে গেলেন দগ্ধ সোহাগও 

১০

‘দাগি’র টিজারে ‘কয়েদি’ নিশো

১১

শেখ হাসিনা-রেহানা পরিবারের ১২৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১২

দুর্নীতি করব না, অন্যকেও সুযোগ দেব না : বিআইএ সভাপতি

১৩

১৬ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে জবি 

১৪

ধর্ষককে প্রতীকী ফাঁসি দিলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

১৫

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার পুনর্বহাল

১৬

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ

১৭

জোভান-পায়েলের ‘তুমি যাকে ভালোবাস’

১৮

ছাত্রদল নেতা তন্ময় গ্রেপ্তার

১৯

ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

২০
X