নেত্রকোনার কলমাকান্দায় চাঁদা না পেয়ে চারজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কলমাকান্দা থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলমাকান্দা থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের মৌজে পোগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহতরা হলেন ওই গ্রামের আরমোজ আলী (৭২), তার দুই ছেলে মো. জুয়েল মিয়া (৪২) ও পোগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী সোহেল রানা (৩৯) এবং তার নাতি মো. পলাশ মিয়া (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পোগলা ইউনিয়নের আরমোজ আলী ও সাইকুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। তারই জেরে আরমোজ আলীর ছেলে সোহেল রানার কাছে চাঁদা দাবি করেন সাইকুল ইসলামসহ তার লোকজন। চাঁদার টাকা না পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে আরমোজ আলীর বসতবাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় চারজন আহত হন। বর্তমানে তারা কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে সোহেল রানা বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে বাড়িতে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এমনকি আমার কাছে চাঁদা দাবি করে তারা। যদি আমি তাদের কথামতো চাঁদা না দেই তাহলে দপ্তরির চাকরি শান্তিতে করতে দেবে না বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি একই গ্রামের মো. সাগর মিয়া, সাজিদ মিয়া, জান্নাত মিয়াসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছেন। তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কলমাকান্দা থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।