হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পৃথক স্থানে মতবিনিময় সভা আহ্বান করাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় সভাস্থল সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর বৈষম্যবিরোধী কেন্দ্রীয় নেতারা পৌরসভা মাঠে সভা করার সিদ্ধান্ত হলেও একপক্ষ আসেনি। পরে বিকেলে একাংশের সভায় অতিথিরা বক্তব্য দেন।
জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সুসংগঠিত করে দেশ গঠনে শিক্ষার্থীদের অংশীদারত্ব নিশ্চিত, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মৈত্রী সফর উপলক্ষে মতবিনিময় সভা আহ্বান করা হয়।
এ নিয়ে হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ সদর উপজেলা অডিটোরিয়ামে এবং অন্যপক্ষ সাইফুর রহমান টাউন হলে পৃথক সভা আহ্বান করে। দুপক্ষ দুটি স্থানে অবস্থান নেয়। এ সময় তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে একপক্ষ উপজেলা পরিষদ হলরুমে গিয়ে চেয়ার ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে সভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম, আসাদুল আল গালিব, সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক আশরাফুল আলম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আজাদ শিকদার ও বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সমন্বয়করা দুপক্ষে তৃতীয় স্থান হিসেবে পৌরসভা মাঠে সভা করার প্রস্তাব দেন।
কিন্তু তাতে সায় দেয়নি সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমের আয়োজকরা। বরং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সব কার্যক্রম স্থগিত করে এ থেকে সরে দাঁড়িয়ে যে কোনো স্বৈরাচারের আবির্ভাব হলে তা রুখে দেওয়ার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জের অন্যতম সমন্বয়ক মাহদী হাসান ও আশরাফুল ইসলাম সুজন।
সমন্বয়ক মাহদী হাসান জানান, সভাস্থলে হামলা ভাঙচুরের প্রতিবাদে তিনি এবং অন্য সমন্বয়ক আশরাফুল ইসলাম সুজন হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তারা হবিগঞ্জে সংগঠনের সব কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। মাহদী বলেন, তবে যদি আবারও কোনো স্বৈরাচারের আবির্ভাব হয়, তবে আমরা তা রুখে দেব।
এদিকে বিকেলে হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠে একপক্ষ সমাবেশ করে। সভায় অন্যপক্ষ আসেনি। দিনভর বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
মন্তব্য করুন