রাজশাহী জোনের বিভাগীয় ছাত্র-নাগরিক মৈত্রী সফরের অংশ হিসেবে বগুড়ায় দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নামাজগড় গোরস্থানে বগুড়ার শহীদ সিয়াম শুভ ও শহীদ শিমুল মণ্ডলের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়।
এ সময় বগুড়ার অন্যান্য শহীদসহ সারা বাংলাদেশে সব শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. মাহিন সরকারসহ রাজশাহী জোনের ছাত্র-নাগরিক মৈত্রী সফরের প্রতিনিধিদলের সদস্য কুররাতুল আইন কানিজ, সাইফুল ইসলাম, মো. ইফতেখার আলম (আসাদ), আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (মেহেদী), ফয়সাল আহমেদ, আল রাকিব, ফাতিন মাহদি, সাদিকুল ইসলাম স্বাধীন, ঐশিক মণ্ডল জয় ও ইমাম হুসাইন ইমন উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়ার প্রতিনিধিদের মধ্যে ইজাজ আল ওয়াসী জিম, আলবীর ইসলাম শাওন, সাকিব খান, বিপ্লব মিয়া, নিয়তি সরকার নিতু, লায়েস আহম্মেদ, ছাব্বির আহম্মেদ রাজ, আকিব, জাকিরুল ইসলাম, সৈকত আহম্মেদ, নাজমুল ইসলাম নিহাল, আজিম উদ্দিন, সেজদা প্রামাণিক, মুশফিকা নাবা, আছিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কবর জিয়ারত শেষে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন নেতারা। এ সময় শহীদ পরিবারের সদস্যরা এবং আহতদের অনেকে মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ করেন।
এ সভায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, বগুড়ায় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মনে অনেক কষ্ট। শহীদ এবং আহতের তালিকা করা হয়েছে। এ তালিকা সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে। সরকারের কাছে দাবি, যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা ও যারা আহত হয়েছেন তাদের ভালোভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। আশা করছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এসব দাবি বাস্তবায়ন করবে। গত ৫ আগস্ট বগুড়ায় শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে ছাত্র-জনতা যে ঐক্য দেখিয়েছেন, আগামী দিনে সেটি বজায় থাকবে।
পরে বিকেলে বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের (নতুন ভবন) মুক্তমঞ্চে ছাত্র-নাগরিকের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে প্রতিনিধিদল।
মন্তব্য করুন