তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এলাকার গ্রাহকদের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন এ এলাকার বাসিন্দারা। চব্বিশ ঘণ্টায় প্রায় আট-দশ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছেন বাসিন্দারা।
ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। মিল কারখানা বন্ধ থাকছে। পোল্ট্রি শিল্পেও পড়ছে এর বিরূপ প্রভাব।
জানা গেছে, পবিস-১ এর সদর দপ্তর চাটমোহর এর অধীনে চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, আটঘরিয়া, ঈশ্বরদী (আংশিক), পাবনা সদর (আংশিক), তাড়াশ (আংশিক), উল্লাপাড়া (আংশিক) এ আট উপজেলার ১১৫২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ৪০টি ইউনিয়নের ৯১৫টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। বৃহত এ এলাকায় যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সে মোতাবেক বিদ্যুৎ না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, তারা চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলও আগের তুলনায় বেশি আসছে। কেউ কেউ ভূতুড়ে বিল আসার অভিযোগ করলেও সমিতি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো ভূতুড়ে বিল করা হচ্ছে না।
হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বড়বেলাই গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, বুধবার রাতে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না। দিনে রাতে বার বার বিদ্যুৎ আসে আর যায়। বেশ কিছু দিন যাবত এ অবস্থা চলে আসছে।
বিলচলন ইউনিয়নের চরসেন গ্রামের রুহুল আমিন জানান, চব্বিশ ঘণ্টায় আট-দশবার বিদ্যুৎ যায় আসে। গড়ে দশ ঘণ্টার মতো বিদ্যুৎ পাই।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার শফিউল আলম বলেন, আমরা ইচ্ছে করে লোডশেডিং করি না। পাবনা গ্রিড নূরপুর, ভাঙ্গুড়া গ্রিড ও ঈশ্বরদী গ্রিড থেকে আমরা যে বিদ্যুৎ পাই তা বিভিন্ন এলাকায় ভাগ করে দিই। এখন আমাদের ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা পাচ্ছি ৫২ মেগাওয়াট। পিক আওয়ারে যখন চাহিদা ছিল ৯৩ মেগাওয়াট, তখন পেয়েছি ৬৯ মেগাওয়াট। আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। গ্রাহক ফোন দিয়ে গালাগাল করে। আমরা যতটুকু বিদ্যুৎ পাচ্ছি ততটুকু বিতরণ করছি।
ভূতুড়ে বিলের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ভূতুড়ে বিল করা হয় না। গত মাসে সমিতির অভ্যন্তরীণ আন্দোলনের কারণে কার্যক্রম কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। কোনো মিটার রিডার মিটারের প্রকৃত বিল না দিয়ে ভুল তথ্য দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো গ্রাহকের অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন