প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মোসা. তামান্না আক্তার ও তারিমা আক্তার নামে নবম শ্রেণির দুই স্কুলছাত্রীকে ছুরিকাঘাত করেছে স্থানীয় সৌরভ হাওলাদার ও তার এক সহযোগী।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের চামটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত স্কুলছাত্রীদের প্রথমে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তামান্না আক্তার (১৫) ও তার বোন তারিমা আক্তার (১৪) চামটা কৃষ্ণনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। তারা চামটা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. আজিজুর রহমানের মেয়ে। অভিযুক্ত সৌরভ হাওলাদার একই গ্রামের অরুন হাওলাদারের ছেলে।
আহত স্কুলছাত্রীদের বাবা মো. আজিজুর রহমান জানান, সৌরভ হাওলাদার বিভিন্ন সময় আমার বড় মেয়ে তামান্নাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হলে বুধবার দুপুরে নিজ বাড়ির সামনে বসে শ্লীলতাহানী ও ছুরিকাঘাত করে আহত করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গেলে বখাটে সৌরভ ও তার ভাই শওকত আমার ছোট মেয়ে তারিমা আক্তারকেও পিঠিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শুনে এসে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, তামান্না এখন শঙ্কামুক্ত। তার ছোট বোন তারিমা আক্তারের কানে ও মাথায় আঘাত লাগায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেন জানান, আহতদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এখন তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত দুজনকে আটক করা হবে।