রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কর্ণফুলী পেপার মিলের উৎপাদন চালুর দাবিতে মানববন্ধন

চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলসের উৎপাদন চালু রাখা এবং উৎপাদন বিরোধী যড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি : কালবেলা
চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলসের উৎপাদন চালু রাখা এবং উৎপাদন বিরোধী যড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। ছবি : কালবেলা

দেশের একমাত্র কাগজকল কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উৎপাদনে না গেলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে সিবিএ। বাংলাদেশের একমাত্র কাগজকল কেপিএম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উৎপাদনে না গেলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে কর্ণফুলী পেপার মিলসের শ্রমিক কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ)-এর সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক।

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় অবস্থিত কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম) লিমিটেডের উৎপাদন চালু রাখা এবং উৎপাদন বিরোধী যড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টম্বর) দুপুর ১টায় কেপিএম শ্রমিক কর্মচারি পরিষদ (সিবিএ)-এর আয়োজনে কেপিএম ১ নম্বর গেইট সংলগ্ন চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটির স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক, কর্মচারী, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীরা অংশ নেন।

কেপিএম শ্রমিক কর্মচারী পরিষদ (সিবিএ) এর সভাপতি আব্দুল রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক কাজী আবু সরোয়ারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সিবিএ’র সহসভাপতি মো. শহীদুল্লাহ, মো. তারেক ও মো. জসিম, যুগ্ম সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, আব্দুল আজিজ ও মো. আলাউদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হারুনর রশীদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কাসেম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০১৭ সাল থেকে তৎকালীন এমডি ড. এম এ কাদেরের যড়যন্ত্রে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এই কাগজ কলটির উৎপাদন ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তিনি কেপিএম’র নিজস্ব পাল্প উৎপাদনও বন্ধ করে দেয়।

ফলে এতদিন বিদেশি পাল্প এনে মাঝে মাঝে কখনো ৫ টন আবারও কখনো ১০ টন উৎপাদন চালু রেখে কোনো রকমে মিলটি নামে মাত্র চালু রাখা হয়েছে। অথচ দৈনিক ১০০ টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এই মিলটির এখনো ১ নম্বর ও ২ নম্বর পেপার মেশিনের ৭০ হতে ৮০ টন উৎপাদন এর সক্ষমতা রয়েছে।

এ ছাড়া মিলের ৩ নম্বর মেশিনটি কারিগরি ক্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে। অথচ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকার পরও ২০১৭ সাল অদ্যাবদি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মিলটি চলছে। উপরন্তু ২০২২ সালে কারখানায় বাজেট কমিয়ে এবং শ্রমিক কর্মচারি কমিয়ে মিলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। এখনো তৎকালীন এমডি আব্দুল কাদের এর দোসররা মিলে বহাল তবিয়তে থেকে যড়যন্ত্রে লিপ্তে আছে। এ অবস্থায় উৎপাদন চালু রাখার জন্য সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারিরা জোর দাবি জানান। প্রসঙ্গত, গত দেড় মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকায় জেনারেল ওসমনীর নাম যে কারণে নেই

ডাকসু নিয়ে গড়িমসি করছে ঢাবি প্রশাসন: গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ 

যে কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোচিং-প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ

নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

ভিডিও করায় সাংবাদিকদের ওপর বহিষ্কৃত এসপির হামলা

বিএসএমএমইউতে চোখের নীরব ঘাতক বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ শুরু

বাংলাদেশে গ্যাস অনুসন্ধান চালু রাখতে চায় রাশিয়া

নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশাচালককে হত্যায় ৪ জনের যাবজ্জীবন

‘রাখাল রাহার বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ অপপ্রচার’

ছাত্র হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গোলাম মর্তুজা ২ দিনের রিমান্ডে

১০

মাদক মামলায় মডেল পিয়াসা খালাস

১১

সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণ / স্ত্রী-সন্তানের পর চলে গেলেন দগ্ধ সোহাগও 

১২

‘দাগি’র টিজারে ‘কয়েদি’ নিশো

১৩

শেখ হাসিনা-রেহানা পরিবারের ১২৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৪

দুর্নীতি করব না, অন্যকেও সুযোগ দেব না : বিআইএ সভাপতি

১৫

১৬ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে জবি 

১৬

ধর্ষককে প্রতীকী ফাঁসি দিলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

১৭

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার পুনর্বহাল

১৮

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ

১৯

জোভান-পায়েলের ‘তুমি যাকে ভালোবাস’

২০
X