নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের সড়ক ও জনপদের জায়গা ও ড্রেন দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় চরমেনিখালী মৌজায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের সওজের জায়গায় জোরপূর্বক অবৈধভাবে বালু ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করছে হাবিবপুর এলাকার মৃত মহারাজ মিয়ার ছেলে জিলানী ও আ. কাদেরের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকাটি জনবহুল ও গণবসতি পূর্ণ এলাকা। এই এলাকার পয়ঃনিষ্কাশনের পানি, বন বিভাগ,পাবলিক টয়লেটসহ কাঁচাবাজারের পানি এই ড্রেন দিয়ে মারিখালি নদীতে পড়ত। অবৈধ বালু ভরাটের কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থাটি নষ্ট হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাঁটু পানি জমে যায়। যাতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ জনগণ। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কর্মজীবী মানুষ এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। দিনের পর দিন জলাবদ্ধতার ফলে জমে থাকা ময়লা আবর্জনায় জনজীবন বিপর্যস্ত। সরকারি জায়গা ও ড্রেন দখলকারী জিলানী ও আ. কাদেরের লোকজনকে এসব কাজে বাঁধা দিলে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করে তারা।
এসব বিষয়ে এসআই আল ইসলাম জানান, জিলানী এবং তাদের কয়েকজন লোক সরকারি জমির পাশাপাশি ড্রেন ভরাট করার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি তাদের বাধা দেওয়ায় মূলত তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। এখানে এসে ড্রেন ভরাটের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জিলানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারি জায়গার পরেই আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। পূর্ব থেকেই এ ড্রেনেজ ব্যবস্থা প্রায় বন্ধ ছিল। এখানে ময়লার ভাগাড় ছিল। তাই জনগণের জন্য আমি বালু ভরাট করেছি। তবে সরকার যদি প্রয়োজন মনে করে আমরা সরকারি জায়গা ছেড়ে দেব।’
সোনারগাঁ উপজেলার সদ্য যোগদানকৃত নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, ‘যেহেতু সেই জমিটি সড়ক ও জনপদের সেহেতু আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি ড্রেন সচল করার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলব।’
সড়ক ও জনপদের নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, ‘সরকারি জায়গা বা ড্রেন কাউকেই দখল করতে দেওয়া হবে না। বিষয়টি তদন্ত করে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
মন্তব্য করুন