নাটোরের সিংড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সড়ক বন্ধ করে গেট নির্মাণ করছে দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ। গেট নির্মাণকাজ শেষ হলে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি চলাচল বন্ধ করে দিবে কর্তৃপক্ষ। ফলে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হবে। এ নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণসহ সচেতন মহল গেট নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন শত শত মানুষ মানুষ সেবা নিতে আসে। একমাত্র প্রধান সড়ক হিসেবে থানা মোড়, জলারবাতা, তাজপুরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ চলাচল করে। জরুরি সেবা নিতে সরকারি হাসপাতালে সেই প্রাচীনতম প্রধান রাস্তা বন্ধ করে স্কুলের গেট নির্মাণ কাজ চলছে। এতে করে ভোগান্তির শঙ্কা করছে সেবাভোগী, পথচারী ও এলাকাবাসী। বিকল্প আরেকটি রাস্তা থাকলেও সে রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারবে না।
দমদমা এলাকার বাসিন্দা রাকিব আলম বলেন, দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের নতুন গেট। এই গেটটি তৈরি করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই রাস্তা দিয়ে শুধু সিংড়া থানার নয় পার্শ্ববর্তী নন্দীগ্রাম ও তাড়াশ থানার কয়েক হাজার লোকজন চলাফেরা করে। সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পশু হাসপাতাল যাবার একমাত্র রাস্তা এটি। এই রাস্তা যদি বন্ধ হয়ে যায় আমরা সিংড়াবাসীসহ দুটি থানার লোকজন বিপদে পড়ে যাবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমাস বলেন, পার্শ্ববর্তী রাস্তা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত গেট নির্মাণ বা রাস্তা যদি স্কুল কতৃপক্ষ বন্ধ করে দেয় তাহলে অনেক সমস্যায় পড়বে মানুষ। নতুন রাস্তাটির কাজ কেমন হবে ও কতটা প্রশস্ত হবে দেখার পর বোঝা যাবে। কাজ শেষ হলে বুঝতে পারব আমাদের হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স এবং জরুরি ওষুধ পরিবহনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে কি না।
দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম আনু বলেন, এই গেটটি নির্মাণ করা হচ্ছে আমাদের স্কুলের দলিলি জায়গায়। এ ছাড়া এখানে গেট সম্পন্ন হওয়ার আগে কলেজের নতুন ভবনের পাশ দিয়ে যে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে সেই রাস্তা দিয়ে মানুষ হাসপাতালে যেতে পারবে। রাস্তাটি আমরা সম্পন্নভাবে এখনই বন্ধ করছি না।