বরিশালে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইয়রব হোসেন এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল মুলাদী উপজেলার তিলমার গ্রামের মো. শাহ আলম খানের ছেলে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালের সাঁটলিপিকার সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলা চলমান অবস্থায় সাইফুলকে ৯ বছর আগে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে সে কারাগারে ছিল। ডিএনএ টেস্টে সাজ্জাদ নামের ১০ বছরের এক শিশু সাইফুলের সন্তান প্রমাণিত হয়। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার আগে সাইফুলকে আদালতে আনা হয়েছিল।
তিনি বলেন, সাজ্জাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব সাইফুলকে প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার পর আদালত সাইফুলকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেষ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাইফুলের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করত তরুণী। সাইফুল তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করলে সে গর্ভবতী হয় এবং ২০১৪ সালে পুত্র সন্তান জন্ম দেয়। সাইফুল সন্তানের স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সাইফুল ও তার স্ত্রী রাজিয়া বেগমের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল মামলা করেন।
মুলাদী থানার তৎকালীন পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম একই বছরের ২৩ এপ্রিল দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। বিচারে সাইফুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে রাজিয়া বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে আদালত খালাস দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন