বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রুবেলের সন্তানদের জীবন অনিশ্চয়তা নিয়ে দৈনিক কালবেলার অনলাইনে ‘আন্দোলনে শহীদ হন রুবেল, জীবন অনিশ্চয়তায় সদ্যভূমিষ্ঠ পুত্রের’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদটি মুহূর্তে চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে তার সন্তানদের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সীর পক্ষ থেকে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের দায়িত্ব নিতে হাসপাতালে ছুটে যান। তারা শহীদ রুবেলের সন্তান ও পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ভিপি শাহীন বলেন, শহীদ রুবেলের দুই সন্তান বড় না হওয়া পর্যন্ত লেখাপড়ার যাবতীয় খরচসহ সব দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সী। আমরা তার পক্ষ থেকে রুবেলের স্ত্রী ও সন্তানদের খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে এসেছি। ভবিষ্যতেও যে কোনো সময় বিএনপি তার পরিবারের পাশে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, গত ৪ আগস্ট দেবিদ্বার উপজেলা সদরে ছাত্র-জনতার ওপর আক্রমণ চালায় আ.লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। ওই সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক রুবেলকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
শহীদ রুবেলের স্ত্রী হেপী আক্তার বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা হাসপাতালে আমার সন্তানকে দেখতে এসেছেন। তারা কথা দিয়েছেন, আমার সন্তানদের লেখাপড়াসহ যাবতীয় খরচ বহন করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ভিপি শাহীন, দেবিদ্বার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনির নিজামী, সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুল হাই কায়সার ও মো. ফারুক, পৌর যুবদলের সভাপতি মো. শাহ জামান মুন্সী, স্বেচ্ছাসেবক দল মুসা সরকারসহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার দেবিদ্বারে আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত হয় আবদুর রাজ্জাক রুবেল। নিহতের সময় তার স্ত্রী হেপী আক্তার নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে হেপী আক্তারের একটি ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। তার নৌফা নামে ৬ বছরের একটি মেয়েও আছে। রুবেল দেবিদ্বার পৌরসভার বারেরা গ্রামের মরহুম রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মন্তব্য করুন