মামলার তদন্ত কার্যক্রমে ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর সামাদকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে কতিপয় শিক্ষার্থীর শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের কোরালিয়ায় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোড়ালিয়ার পাটোয়ারী স্কুল সংলগ্ন এলাকার হারুন ছৈয়ালের স্ত্রী মাছুয়া বেগম (৪২) নামে এক নারী যৌন নিপীড়ন ও হুমকি-ধমকির অভিযোগ আনেন একই এলাকার নয়ন বেপারি (৩০) ও ফয়সাল (৪৫) গংদের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই সঙ্গীয় ফোর্সসহ তদন্তে যান এসআই সামাদ। এ সময় তাকে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ।
পরে অর্ধশত শিক্ষার্থী মিছিলসহ থানায় প্রবেশ করে। শিক্ষার্থীদের দল বেঁধে থানায় প্রবেশ করায় একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে অসুস্থ হয়ে পড়েন সদর থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি। এসআই সামাদ ও অসুস্থ ওসিকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামাদ বলেন, ওরা আমার সন্তানের চেয়েও ছোট। আমি ওখানে থানায় অভিযোগের আলোকে তদন্তে গিয়েছি। উভয়পক্ষ যাতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি না করে সেজন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমার সঙ্গে তারা এমন আচরণ করল কেন বুঝতে পারছি না।
সদর মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন রনি বলেন, মানুষ আইনের কাছে আসে বিচার চাইতে। আমরা যাব কোথায়। কতটা অসহায় অবস্থায় আমাদের পুলিশের লোকজন। পুলিশ স্বাভাবিকভাবে আইনি কার্যক্রম পর্যন্ত করতে পারছে না। আমরা এর বিচার চাই।
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র নার্স ফেরদৌসি জাহান লাভলী বলেন, আমরা রোগীদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছি। চিকিৎসকরাও তাদের মনিটরিং করছেন।
মন্তব্য করুন