হবিগঞ্জের বাহুবল বাজারে মহিলা কর্নার নামে মহিলাদের নামে বরাদ্দকৃত দোকানঘরগুলো কিছু প্রভাবশালী লোক অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বরাদ্দ নিয়ে মোটা অঙ্কের জামানত ও ভাড়ার বিনিময়ে পুরুষদের দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
এ বিষয়ে আউলিয়া আক্তার ও সুমনা আক্তার নামের দুই নারী চলতি বছরের ২৬ জুন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
জানা যায়, বাজারের ভেতরে মহিলাদের বরাদ্দকৃত দোকানগুলো দীর্ঘদিন ধরে পুরুষ দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসার পর গত বছরের শেষের দিকে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমা আগের ভাড়াটে মহিলাদের চুক্তি বাতিল করে নতুন করে আগ্রহী মহিলাদের কাছ থেকে দরখাস্তের আহ্বান করেন।
নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করে তালিকা দেবেন ইউএনও অফিসে। তিনি সে তালিকা অনুযায়ী ভাড়া চুক্তি সম্পাদন করবেন।
আগের ভাড়াটে মহিলারা ছিলেন ৪নং বাহুবল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরীর বোন ও বাহুবল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলমের স্ত্রী জেসমিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শামীম মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার এবং যুবলীগ নেতা মজনু মিয়ার স্ত্রী লিজা আক্তার।
মূলত তাদের নামে বরাদ্দ হলেও দীর্ঘদিন উপভাড়া দিয়ে মোটা অঙ্কের জামানত নিয়ে পুরুষের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়। আবার নতুন করে বরাদ্দ পাওয়ার পরও আগের ভাড়াটিয়া দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
বাহুবল উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাকিব হাসান বলেন, আমি নিজেও দেখেছি দোকানগুলোতে পুরুষ বসা থাকে। আমি তাদের নোটিশ করব। প্রয়োজনে তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হবে।
মন্তব্য করুন