যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। গত রোববার রাতে এই ডিম বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। গতকাল সোমবার বন্দর থেকে ডিম খালাসের কার্যক্রম চলে।
ভারত থেকে আমদানি করা এই ডিমের মূল্য প্রতি পিস ৬ টাকা ৮৫ পয়সা। পর্যায়ক্রমে এই বন্দর দিয়ে আরও ডিম আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ঢাকার হাইড্রো ল্যান্ড সলিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স শ্রী লক্ষী নারায়ণ নামের অপর একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি করে। আমদানি করা প্রতি পিস ডিম ভারতীয় বাজার থেকে ক্রয় করা হয়েছে বাংলাদেশি ৪ টাকা ৭৪ পয়সা দরে।
কাস্টমসের শুল্ক পরিশোধ ও ডিম পরিবহন খরচ দিয়ে বেনাপোল পর্যন্ত প্রতি পিস ডিমের মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৮৫ পয়সা। বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারত থেকে ডিম আমদানির ফলে ডিমের বাজারে যে ঊর্ধ্বগতি তা কমে আসবে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এর আগে বিগত সরকারের আমলে বেনাপোল বন্দর ভারত থেকে ১০ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
ডিম আমদানির অনুমতি দিলে প্রথম ধাপে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানি হয়। পরবর্তীতে আরও ৬ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়ে মোট ১০ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল সে সময়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, শার্শা উপজেলার ডা. বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে ১ হাজার ১০৪ প্যাকেজে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম আমদানি করা হয়েছে। ডিমগুলো সরেজমিনে পরীক্ষণ করে খাওয়ার উপযোগী মনে করে ছাড়পত্র দিয়েছি।
এ প্রসঙ্গে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল কালবেলাকে বলেন, ডিমের বাজারের অস্থিরতা নিরশনের জন্য বাংলাদেশ সরকার ডিম আমদানির যে অনুমতি দিয়েছে তারই প্রেক্ষিতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। আমি মনে করছি এভাবে ডিম আমদানি হলে বাংলাদেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
মন্তব্য করুন