ঘোষণা অনুসারে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার দিন পেরিয়ে গেলেও ফেনীতে এখনো জমা হয়নি ৭টি অস্ত্র। এরমধ্যে ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নামে লাইসেন্স করা অস্ত্রও রয়েছে। তবে এরইমধ্যে ৯৩টি অস্ত্র জমা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ৬টি থানায় ৬৬টি, জেলার বাইরে বিভিন্ন থানায় ২৫টি অস্ত্র জমা পড়েছে। এ ছাড়া দুটি অস্ত্র জেলা ট্রেজারিতে আগে থেকেই জমা দেওয়া ছিল। গত কয়েক দিনে সবমিলিয়ে মোট ৯৩টি অস্ত্র জমা দেওয়ার তথ্য মিলেছে।
জানা গেছে, জমা না পড়া লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে নিজাম উদ্দিন হাজারী ও তার স্ত্রীর নামে ৩টি এবং সোনাগাজী পৌরসভার সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের দুটি অস্ত্র রয়েছে। জমা না হওয়া বাকি অস্ত্রের তথ্য পাওয়া যায়নি।
ফেনী জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যক্তিপর্যায়ে বন্দুক, শটগান, পিস্তল ও রাইফেলসহ ১০৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান করলেও ১০০টি অস্ত্র কেনা হয়েছিল। এসব অস্ত্র আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশেষ ব্যক্তিদের কাছে ছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে এসব অস্ত্র আইনি ও বেআইনি দুইভাবেই ব্যবহার করেছেন। জেলায় মোট ৯৩টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। লাইসেন্সকৃত বাকি ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো জমা পড়েনি।
ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ব্যক্তিপর্যায়ে লাইসেন্স দেওয়া অস্ত্রের মধ্যে ৭টি এখনো জমা পড়েনি। ফেনীর ৬টি থানা ছাড়াও অনেকে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র জমা দিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন থানায় জমা দেওয়া অস্ত্রের তথ্য এখনো আসছে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৯৩টি অস্ত্র জমা দেওয়ার তথ্য রয়েছে।
মন্তব্য করুন