‘যেদিন শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করে সেদিন কুষ্টিয়া মডেল থানায় যে হামলা ও ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল তা আমার নেতৃত্বে হয়েছিল।’ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার খাজানগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় চাঁদাবাজি রোধে চালকল মালিক ও স্থানীয়দের নিয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ কথা বলেন কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদ।
সম্প্রতি কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদের প্রায় ২৬ সেকেন্ডের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগরে এক শান্তি সমাবেশে দেওয়া ভিডিওতে আব্দুল মাজেদ আরও বলেন, এমনই একটা দিন নাই আমার তিনটি ছেলে, আমার পরিবার, আমার চাচা-চাচিরা আন্দোলনে যায়নি। রক্তে টান দিয়েছে, রক্ত যখন টান দেয় তখন জনগণের স্রোত ঠেকানো যায় না। এ সময় শেখ হাসিনা সরকারের আমলে জুলুম নির্যাতন ফিরিস্তিও তুলে ধরেন তিনি।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে সরকার পতনের পর নানা অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা, মামলার ভয় দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীদের কাছে পাহাড়সম অভিযোগও জমা হয়।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আমিসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। দায়িত্বশীল পদে থেকে এমন কর্মকাণ্ড কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তা ছাড়া বিএনপি কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের দিনই এমনকি আগে ও পরে নেতাকর্মীরা যাতে করে শান্তিপূর্ণভাবে ধৈর্যের পরিচয় দেন, কোনোপ্রকার ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড না করেন সেই লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনা মেনে নেতাকর্মীরা ধৈর্যের পরিচয় দেন। কিন্তু কিছু নেতাকর্মীর সংগঠনবিরোধী আচরণে বিব্রত বিএনপি। তবে যুবদল নেতা মাজেদের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিএনপি।
এ বিষয়ে জানতে জেলা যুবদলের সমন্বয়ক আব্দুল মাজেদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি।
মন্তব্য করুন