কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে একটি বালুবাহী বাল্কহেড জব্দ ও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার নলচর এলাকার নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ১১ জন হলেন, মেঘনা উপজেলার নলচর গ্রামের মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে আকবর আলী (৪৭), বশীর উদ্দিনের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৪), পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্লার ছেলে মো. ফেরদৌস মোল্লা (৩৫), নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার নবীনগর গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে মো. সুমন সরকার (৩০), ভাটিবন্দর গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে এমতাজ আলী (৪৭)।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মধ্যেরচর রমনি মোহন গ্রামের মোস্তফা মাঝির ছেলে মো. মিরাজ (২৫), বরগুনা সদর উপজেলার আজকরকাঠি গ্রামের মো. আফজাল হোসেনের ছেলে মো. সাব্বির (১৮), আকবর আলীর ছেলে আবু জাফর (৩৮), পটুয়াখালীর ধুমকি উপজেলার চর বড়ুয়া গ্রামের বাকের হাওলাদারের ছেলে মো. ইউসূফ (৪০), মির্জাগঞ্জ উপজেলার উত্তর আমরা গাছিয়া গ্রামের মৃত কাশেম আলী জর্ন্মদারের ছেলে মো. পনু জর্ন্মদার (৫৭) ও আমরাগাছিয়া গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে মো. ইমরান (২৫)।
নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এ কে এম আলমগীর জাহান বলেন, কয়েকদিন ধরে তারা এই এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিল। তাদেরকে আটক করার জন্য বেশ তৎপর ছিলাম। অবশেষে যৌথ বাহিনীর অভিযানের মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নদীপথে কোনো অপরাধের সংবাদ পাওয়া গেলে যৌথ বাহিনী অভিযানের মাধ্যমে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মেঘনা থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক কালবেলাকে বলেন, রাতের অন্ধকারে চুরি করে বালু উত্তোলনের সংবাদ বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি। রাতের অন্ধকারে বালু উত্তোলন শুরু করলে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় একটি বাল্কহেড জব্দসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন